• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চ্যাটজিপিটিকে ছাড়িয়ে গেছে জাকারবার্গের থ্রেডস

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৩, ০২:৪৪ এএম

চ্যাটজিপিটিকে ছাড়িয়ে গেছে জাকারবার্গের থ্রেডস

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ্যে আসার মাত্র ৫ দিনে মেটার নতুন অ্যাপ থ্রেডসে সাইন আপ করেছেন ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিকেও ছাপিয়ে নতুন এই রেকর্ড করেছে থ্রেডস।

সম্প্রতি রয়টার্সের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইলন মাস্কের মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারকে টেক্কা দিতে ‘থ্রেডস’ অ্যাপটি এনেছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। অ্যাপটি লঞ্চ হওয়ার মাত্র ৫ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সাইন-আপ করেছেন।

ইউএসবি’র এক সমীক্ষা অনুসারে, এটি কোনো অ্যাপের ক্ষেত্রে একটা বড় রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটি ছিল চ্যাটজিপিটি’র দখলে। তবে জানুয়ারিতে বাজারে আসা চ্যাটজিপিটির ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী অর্জন করতে ২ দুই মাস সময় লেগেছিল। যা মাত্র ৫ দিনেই অতিক্রম করেছে থ্রেডস।

সুতরাং, এই মাইলফলক স্পর্শ করায় দ্রুত বর্ধনশীল আনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিকে ছাড়িয়ে গেছে থ্রেডস।  

এই মাইলফলক অর্জন করার বিষয়ে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, কোনো রকম প্রচারণা শুরুর আগেই থ্রেডস এই মাইলফলক ছুঁয়েছে।

তবে থ্রেডসের এমন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়াকে বিশ্লেষকরা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটারের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবেই দেখছেন।  

৫ জুলাই বাজারের আসার পর সময় যত গড়িয়েছে, থ্রেডসের ব্যবহারকারী তত বেড়েছে। এতে সেলিব্রিটি, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে গণমাধ্যমগুলো একে একে সাইন-আপ করছে।

জাকারবার্গ থ্রেডস অ্যাপকে টুইটারের ‘বন্ধুসুলভ’ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাবি করেছেন। তবে অ্যাপটি বাজারে আনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলন মাস্কের টুইটার কিনে নেয়ার পর টুইটারের সাম্প্রতিক যে পরিবর্তনগুলো এসেছে, সেগুলো নিয়ে অনেক টুইটার ব্যবহারকারীই অসন্তুষ্ট। আর সেই সব ব্যবহারকারীকেই আকৃষ্ট করতে পারে থ্রেডস।

জাকারবার্গের নতুন এই সামাজিক মাধ্যমটি তার ব্যবহারকারীদের নিজেদের চিন্তাভাবনা ৫০০ অক্ষরের মধ্যে প্রকাশ করার সুযোগ দিচ্ছে। একই সঙ্গে অ্যাপটিতে টুইটারের মতো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

থ্রেডস টুইটারকেও ছাড়িয়ে যাবে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাকারবার্গ বলেন, ‘সেটা হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে। তবে আমি মনে করি, ১০০ কোটির বেশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে এমন একটি পাবলিক কনভারসেশন অ্যাপ থাকা উচিত। যা করার একটি সুযোগ পেয়েছে টুইটার। কিন্তু তারা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আশা করি, আমরা করব।’

প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্যসহ শতাধিক দেশে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে নিয়ন্ত্রণজনিত উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এটা এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে ব্যবহার করা যাবে না।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ