প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৯:২০ পিএম
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আবারও বড় দুঃসংবাদ। পৃথিবীতে করোনাভাইরাস যেমন দ্রুতগতিতে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়েছিল ঠিক তেমনি এখন কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ছে কম্পিউটার ভাইরাস, যা আপনার দামী কম্পিউটারটিকেই নষ্ট করবে না, সেই সঙ্গে নষ্ট করবে প্রয়োজনীয় সব তথ্যও।
কম্পিউটার ভাইরাস মূলত একধরনের প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রাম কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই বা অজ্ঞাতে নিজেই নিজের অনুলিপি তৈরি করে। এ প্রোগ্রাম মেমোরির সব জায়গা দখল করে নেয়। এরপর একে একে ধ্বংস করে কম্পিউটারের সব ডিভাইস।
কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্নভাবে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের ক্ষতি করে। যার কারণে কম্পিউটার একসময় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে রয়েছে এমন কোটি কোটি ভাইরাস। এসব ভাইরাস মূলত লুকিয়ে থাকে বিভিন্ন অ্যাপে। যখন ব্যবহারকারীরা নেট সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটারে কাজ করতে শুরু করেন, তখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড হতে শুরু করে কম্পিউটার ভাইরাস আছে এমন অ্যাপ।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা এমন ভাইরাস পূর্ণ অ্যাপ আবার কখনো ব্যবহারকারী না জেনেই ডাউনলোড করে কাজের প্রয়োজনে। যে কারণে ব্যবহৃত কম্পিউটার সব সময়ই থাকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকিতে।
ভাইরাস শনাক্তের জন্য যদিও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিভাইরাস, তবে সেসব অ্যাপ দিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই অরক্ষিত থেকেই যায় ব্যবহৃত পিসি বা কম্পিউটার।
এদিকে আইটি নিরাপত্তা পণ্যের কার্যকারিতা বিশ্লেষক জার্মান প্রতিষ্ঠান এভি-টেস্ট ইনস্টিটিউট বলছে, প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ ম্যালওয়্যার, অবাঞ্ছিত অ্যাপ্লিকেশন এবং ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। ২০২১ সালে এর সংখ্যা ১১৯ কোটি ছাড়িয়েছে।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, এসব কম্পিউটার ভাইরাসের ৭০ শতাংশই তৈরি হয় চুক্তিভিত্তিক। হ্যাকাররা এ কাজটি করে থাকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। আর কম্পিউটারভিত্তিক বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকানোর কাজটি করে মোটা অঙ্কের মুনাফা লাভের আশায়। কারণ, কম্পিউটার নষ্ট মানেই কাজের প্রয়োজনে আবার নতুন কম্পিউটার কেনার গ্রাহক বৃদ্ধি।
সাজেদ/এএল