প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২২, ০৪:৩৬ এএম
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে মোবাইলফোন নেটওয়ার্কে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। সিত্রাং তাণ্ডবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ১৯ জেলায় ৬ হাজার মোবাইল টাওয়ার ডাউন হয়ে যায়। তিনদিন পার হলেও এখনো অচল এক হাজার ১৭৬ মোবাইল টাওয়ার। ফলে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, বাংলাদেশে এখনো মোবাইল টাওয়ারের ব্যাকআপ না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । তবে শুক্রবার অথবা শনিবারের মধ্যে অচল এসব টওয়ার সচল হতে পারে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১০টা পর্যন্ত চার হাজার ৮৩১টি টাওয়ার সচল করা হয়। বাকি এক হাজার ১৭৬টি টাওয়ার সচলের কাজ চলমান রয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে এগুলোও সচল করা সম্ভব হবে।
বাগের হাটের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, `গ্রামীণফোনে আমার ৮ জিবির প্যাকেজ নেওয়া আছে, মেয়াদ ৩০ অক্টোবর শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু নেটওয়ার্ক না থাকায় আমি ডাটা ব্যবহার করতে পারছি না।`
মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশেনর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, `ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যেসব এলাকায় মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না তাদের টাকা ও ডাটা ফেরত দেওয়া হোক। এটা শুধু ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় নয়, সারা বাংলাদেশের চিত্র প্রায় একই।`
তিনি বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেটের চাহিদা মোবাইল গ্রাহকদের মধ্যে বেড়েই চলেছে। তিন হাজার ৮৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছেন গ্রাহকরা। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি ৭৫ লাখ। কিন্তু বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যবহারে দুর্ভোগের শেষ নেই।
২০১৭ সাল থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত অভিযোগ গ্রহণ করছে না। বিটিআরসি’র কাছে হাজার হাজার অভিযোগ থাকলেও নিষ্পত্তি করতে কমিশন ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকদের কমিশনের প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে।
এসএএস