ক্রীড়া ডেস্ক
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে বোলিং নিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফিল্ডিং করতে বাইশগজে পা রাখতেই ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলার রেকর্ড বুকে উঠে যান সদ্য টেস্ট থেকে অবসর নেয়া এই অলরাউন্ডার।
মাহমুদউল্লাহর ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে। প্রায় ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে হয়ে উঠেছেন এই ফরম্যাটের দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্ণাঢ্য সেই ক্যারিয়ারে ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরি সেড়ে নিলেন মাহমুদউল্লাহ।
এর আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাশরাফি মর্তুজা। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২২৭ ওয়ানডে খেলার রেকর্ড মুশফিকুর রহিমের, দ্বিতীয় সর্বাধিক ২১৮টি করে ওয়ানডে খেলেছেন তামিম ইকবাল ও মাশরাফি মর্তুজা, সাকিব আল হাসান খেলেছেন ২১৪ ওয়ানডে ম্যাচ।
এই ম্যাচে মাঠে নামার পূর্ব পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যাট হাতে ৪৪৬৯ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ৭৬ উইকেট, রানের দিক দিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ, উইকেটের দিক থেকে সপ্তম সর্বোচ্চ, তবে ক্যাচ নেয়ার ক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই সবার উপরে, ১৯৯ ম্যাচে তিনি ক্যাচ নিয়েছেন ৬৯টি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের দিক দিয়েও শীর্ষ পাঁচেই আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তিনি ১৯৯ ওয়ানডেতে জিতেছেন ৯২ ম্যাচে, তার চেয়ে বেশি ওয়ানডেতে জয় পেয়েছেন ৪ জন ক্রিকেটার। তবে একটা দিক থেকে রিয়াদই প্রথম, তিনিই একমাত্র, সেটা হলো বাংলাদেশের হয়ে বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
২০১৫ বিশ্বকাপে দুইটি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন রিয়াদ, যা নির্দিষ্ট একটা বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এসব পরিসংখ্যানের বাহিরেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আলাদা একটা পরিচয় আছে, সেটা হলো সাইলেন্ট কিলার। দলের ক্রাইসিস মুহূর্তে ত্রাতা হয়ে অনেকবারই দলের হাল ধরেছেন, তবে অধিকাংশ সময়ই থেকে গেছেন আলোচনার বাহিরে।
জেডআই/নির্জন
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন