• ঢাকা রবিবার
    ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ব্যর্থতাই সঙ্গী বাংলাদেশের

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ব্যর্থতাই সঙ্গী বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক

লজ্জাজনক ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ব্যর্থতাময় এক দিন পার করলো বাংলাদেশ। নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদদের নির্বিষ বোলিংয়ে একেবারে নির্ভার হয়ে দিন শেষ করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। 

চার বোলারকে দিয়ে চেষ্টা করিয়েও দিনের শেষভাগে আলোকস্বল্পতার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। উল্টো ৪ দশমিক ৭৫ গড়ে ১৪.১ ওভারে ৬৭ রান তুলে নিয়ে দিন শেষ করেছেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট এবং বেন কারেন। 

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জিম্বাবুয়ের জন্য এটা ওপেনিং জুটিতে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ রান। প্রথম দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ে এখনও পিছিয়ে আছে ১২৪ রানে। 

যে পিচে রান তুলতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হিমশিম খেয়েছেন পুরোটা দিন, শেষ বিকেলে সেখানেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে বোলারদের শাসন করেছেন বেনেট। ৬ চারের সাহায্যে ৩৭ বলে ৪০ রান তার। বেন কারেন অবশ্য টেস্টই খেলেছেন। ৪৯ বলে করেছেন ১৭ রান। বাংলাদেশ অধিনায়ক চার বোলার ব্যবহার করেও পাননি উইকেটের দেখা। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯১ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের। দিনের শুরুতে ৩২ রান তুলতেই দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামকে হারাতে হয়। 

প্রাথমিক এ ধাক্কা সামলে দলকে এরপর পথ দেখাতে থাকেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু, স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান যোগ হতে ভেঙে যায় এ জুটি। দলীয় ৯৮ রানের মাথায় আউট হন শান্ত। ৬৯ বলে ৪০ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ হন টাইগার অধিনায়ক। এরপর মুমিনুলের সঙ্গে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের জুটি হয় মাত্র ২৫ রানের।

১৮ বলে মাত্র ৪ রান করে ফেরেন মুশফিক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে শর্ট মিড উইকেটে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার।

মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুমিনুলও। মাসাকাদজার বলে আউট হওয়ার আগেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি করে নেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১০৫ বলে ৫৬ রান (৮ চার ও ১ ছক্কা) করেন তিনি।

নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ হন মুজারাবানির শিকার। ৪ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মেহেদী। দলীয় ১৩৭ রানে পতন হয় ৬ উইকেটের।

আট নম্বর ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম টেকেন ১৯ বল। তবে রান করেন মাত্র ৩। তিনিও হন মাসাকাদজার শিকার। ইনসাইড এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তাইজুল। ১৪৬ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শেষদিকে হাসান মাহমুদকে নিয়ে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জাকের আলী অনিক; গড়েন ৪১ রানের জুটি। ৩০ বলে ১৯ রান করে হাসান মাহমুদ আউট হলে ভেঙে যায় জুটিটি। পরে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন জাকের আলী। ৫৯ বলে ২৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার।

৬১তম ওভারের শেষ বলে সর্বশেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ রানার স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। এতে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ২টি করে উইকেট নেন ভিক্টর নুয়াইসি ও ওয়েসলি মাধেভেরে।

আর্কাইভ