
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ১০:০০ পিএম
গত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে শিরোপা খরা কাটানোর লক্ষ্য নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিয়েছে প্রোটিয়ারা। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা। এতে কপাল পুড়েছে আফগানিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০৭ রানে ইংল্যান্ড হারাতে পারলে সেমিফাইনাল খেলতে পারত তারা। কিন্তু টানা তিন ম্যাচ হেরে আফগানদের সঙ্গে নিয়ে বিদায় নিয়েছে ইংলিশরা।
শনিবার (১ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১২৫ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ক্রিস্টান স্টাবস। ৫ বলে শূন্য রান করে ফেরেন তিনি। ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার রিয়ান রিকেলটনও। ২৫ বলে ২৭ রান করেন তিনি।
তবে হেইনরিচ ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ভ্যান ডের ডুসেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৯ ওভারে ১০০ রানের কোটা পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন ক্লাসেন, আর ৭২ বলে ডুসেন। এতে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে প্রোটিয়া।
শেষ পর্যন্ত ক্লাসেনের ৫৬ বলে ৬৪ রান এবং ডুসেনের ৮৭ বলের অপরাজিত ৭২ রানে ভর করে ১২৫ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ফিল সল্ট (৮)। ৩ বলে শূন্য রান করে ফেরেন স্মিথ। তবে রুটকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন বেন ডাকেট।
কিন্তু ২১ বলে ২৪ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ইংলিশ ওপেনার। ২৯ বলে ১৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হ্যারি ব্রুক। এদিন ফিফটি তুলতে পারেননি রুট। ৪৪ বলে ৩৭ রান করে বোল্ড আউট হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
এরপর শুরু হয়ে ইংলিশদের উইকেট মিছিল। লাইম লিভিংস্টোন (৯), ওভারটোন (১১), জোফরা আর্চার (২৫) এবং আদিল রশিদ আউট হন ২ রানে। আর নিজের নেতৃত্ব শেষ ম্যাচে ৪৩ বলে ২১ রান করে ফেরেন বাটলার। এতে ৩৮ ওভার ২ বল খেলে ১৭৯ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।