• ঢাকা সোমবার
    ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

লিটন-তানজিদের জোড়া সেঞ্চুরিতে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম

লিটন-তানজিদের জোড়া সেঞ্চুরিতে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক

বিপিএলের চলমান আসরে আগেই ছয় ম্যাচ খেলেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে জয়ের খাতা এখনও শূন্য। নিজেদের সপ্তম আজ সিলেটে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে খেলছে ঢাকা। এই ম্যাচে রাজশাহীর বোলারদের কচুকাটা করে ছেড়েছে শাকিব খানের দল। আরও স্পষ্ট করে বললে, লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। দুই ওপেনারের জোড়া সেঞ্চুরিতে বিপিএল ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে ক্যাপিটালস।

নির্ধারিত মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করেছে থিসারা পেরেরার দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছেন লিটন দাস। তিনি ৫৫ বলে ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া তানজিদ তামিম ৬৪ বলে ১০৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন।

এই ম্যাচে ১৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ঢাকার ব্যাটাররা। এর মধ্যে লিটন দাস ৯টি, তানজিদ তামিম আটটি এবং সাব্বির রহমান মেরেছেন একটি ছক্কা। ইনিংসে চারের মার এসেছে ১৬টি। লিটনের ব্যাট থেকে ১০টি আর তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ছয়টি চারের মার।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকার দুই ওপেনার শুরুতেই হাত ‍খুলে ব্যাট করতে থাকেন। মাত্র ৫ ওভার ৩ বলেই দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে ঢাকা। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫৯ রান।

ইনিংসে যত বল মাঠে ছড়িয়েছে ব্যাটাররা ততই আগ্রাসী হয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন। মাত্র ২৪ বলেই ব্যাক টু ব্যাট অর্ধশতক তুলে নেন লিটন দাস। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৮ ওভার ৩ বলেই দলীয় ১০০ ছাড়ায় ক্যাপিটালস। ওপর পাশে ৩৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। ঢাকা দলীয় দেড়শ স্পর্শ করে ১২ ওভার ৩ বলে। তখন মনে হচ্ছিল আড়াইশ ছোঁয়া স্কোরবোর্ড দেখবে বিপিএলের দর্শকরা।

৪৪ বলে লিটন দাসের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পরের বলেই দলীয় ২০০-ছাড়ায় ঢাকা। যখন ইনিংসের দৈর্ঘ্য ১৬ দশমিক ৩ ওভার। এরপর ৬২ বলে ম্যাজিক তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তানজিদ তামিম। শেষ ওভারে শফিউল ইসলামের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচঘরে সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ রান করেন তানজিদ তামিম। লিটন ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন আর সাব্বির ২ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এতেই ২৫৪ রানের রেকর্ড সংগ্রহ পায় ঢাকা।

দুই ব্যাটারের রেকর্ডের দিন রাজশাহীর বোলারদের ওপর একপ্রকার তাণ্ডবই চালানো হয়েছে। দলটির হয়ে সবচেয়ে ইকোনোমিক্যাল বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ২৯ রান। শফিউল ৪ ওভারে ৬২ রান, সোহাগ গাজী ৫৬ রান, সানজামুল ৩ ওভারে ৩৫, এস এম মেহেরাব দুই ওভারে ৩৪, রায়ান বার্ল ২ ওভারে ২১ রান ও সাব্বির হোসেন এক ওভারে ১৭ রান দিয়েছেন।

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ