প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
প্রতিশোধের মঞ্চ হয়ে উঠেছিল সিলেটে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। আগের দেখায় মুখ ধুবড়ে পড়েছিল ফরচুন বরিশাল। এবার ব্যাটিংয়ে সেই ভুল করেনি। তবে তামিম ইকবালের দল দুইশ ছুইছুই সংগ্রহ এনেও জয় পায়নি। রাইডার্সদের অধিনায়ক নুরুল হাসানের শেষদিকের তাণ্ডবে ফিকে হয়েছে ফরচুনদের প্রতিশোধের ভাগ্য।
লাক্কাতুরা চা বাগান ঘেরা মাঠে ৫ উইকেট হারিয়ে বরিশাল আনে ১৯৭ রান। জবাবে ম্যাচের এক সময় সমীকরণ আসে ৮ বলে প্রয়োজন ২৮ রান। তখন কাইল মায়ার্সের ওপর চড়াও হন নুরুল। ইনিংসের শেষ ওভারে তিনি সবকটি বলই করেন সীমানাছাড়া। মায়ার্সের ৩০ রানের ওভারে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ও নিশ্চিত করে বসে নুরুল ব্রিগেড। ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ধরাছোয়ার বাইরে রংপুর। বিপিএলে এবার দুবারের দেখায় দুবারই হেরেছে বরিশাল।
বড় লক্ষ্যে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ইংলিশ ব্যাটার এলেক্স হেলসকে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান তানভির ইসলাম। পরে তিনে নামা সাইফ হাসানের ব্যাটে আসে ২২ রান। ওপেনার তৌফিক ফেরার আগে ২৮ বলে করেন ৩৮ রান। পরে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে টেনেছেন ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ।
রংপুরকে জয়ের পথে আনা ইফতেখারকে ফিরিয়েছেন তার স্বদেশি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইফতেখার ফেরার আগে ৩৬ বলে করেন ৪৮ রান। আরেক পাকিস্তানি খুশদিল শাহ খেলেন ২৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান খেলেন ক্যামিও। তার ৭ বলের ৩২ রানের ক্যামিওতে আসে দুর্দান্ত জয়। রংপুরকে জেতাতে ৭ বলের তিনটিতে ছক্কা ও তিনটিতে চার হাঁকান নুরুল। ওই ওভারে মায়ার্স খেয়েছেন ৩০ রান।
এরআগে, কুড়ির কুড়ির মঞ্চে আজ ৫ উইকেট হারিয়ে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় বরিশাল। ধীরগতির শুরু করলেও পরে সেটি পুষিয়ে নেন তামিম-শান্ত। রান করতে ভুগতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৪১ রান। ওপেনিংয়ে ৮১ রানের জুটিতে তিনি ৩০ বলে করেন এই রান। তামিম ফেরার আগে ৩৪ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। হৃদয় করেছেন ১৮ বলে ২৩। বাকি সময়ে মায়ার্স ও ফাহিম আশরাফ তাণ্ডব।
ম্যাচের ১৮ ওভারে দেড়শ ছাড়ানো দল ৪ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল তখন ঝড়ো ইনিংস খেলেন ফাহিম। পাকিস্তানের এই ব্যাটার করেন ৬ বলে ২০ রান। বরিশালের হয়ে দিনের সেরা ইনিংস খেলেন মায়ার্স। ২৯ বলে ৭ ছক্কা ও এক চারে আনেন ৬১ রান। নুরুল হাসান ছয় জন বোলার ব্যবহার করলেও তেমন কেউ সুবিধা করতে পারেননি। তবে ব্যাটিংয়ে ঠিকই দলের প্রয়োজনে ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন নুরুল। ক্যাপ্টেনস নকে রংপুর পেয়েছে টানা ছয় ম্যাচের ছয়টিতে জয়।