প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে বড় দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু মাত্র দুই মাসের মধ্যে তিনটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। ভারতের মাটিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে ধবলধোলাই হওয়ার তেতো স্বাদ পেয়েছে শান্ত বাহিনী।
মিরপুরে টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রামে পা রেখেছিল টাইগাররা। কিন্তু বাংলাদেশ দল মিরপুরের থেকে আরও বাজেভাবে হারের স্বাদ পেয়েছে বন্দরনগরীতে। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস এবং ২৭৩ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসে ৫৭৫ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এতে ফলোঅনের ফাঁদে পড়েছে স্বাগতিকরা। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হতো ৩৭৬ রান। কিন্তু তার আগে অলআউট হওয়ায় আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ।
এবারেও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটাররা। মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছে তারা। এতে ইনিংস এবং ২৭৩ রানের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়েও টিকে রইল প্রোটিয়ারা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৩১ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। এরপর ২ বলে শূন্য রান করে ফেরেন আগের ইনিংসে ৮২ রান করা মুমিনুল হক।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তিনে ব্যাট করতে নামা জাকির হাসানও। ২৬ বলে ৭ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। এরপর ২ বলে ২ রান করে অভিজ্ঞ মুশফিক লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে দলীয় ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মিরাজ ৬ রান করে আউট হলে পিচে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি শান্ত। ৫৫ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিনি। তাইজুল ১ রান করে আউট হলে হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
দিনের শেষ সময়ে কেশব মাহরাজকে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৬৪ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ৩০ বলে ৩৮ রান করে হাসান মাহমুদ অপরাজিত থাকলেও ৫ বলে শূন্য রান করে নাহিদা আউট হলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে ইনিংস এবং ২৭৩ রানের ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াদের হয়ে এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন কেশব মাহরাজ। আরেক স্পিনার সেনুরান মুথুসামি নেন চার উইকেট। এ ছাড়াও এক উইকেট শিকার করেন ডেন প্যাটারসন।