প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে নিতিশ-রিঙ্কুর ব্যাটিং তাণ্ডবে বাংলাদেশকে ২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের নতুন সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল ভারত। এর আগে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ১৯৬ রান তুলেছিলো মেন ইন ব্লু’রা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পক্ষে বোলিং শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এক ওভারে ১৫ রান দেয়ায় তার পরিবর্তে তানজিম সাকিবকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলেই ওপেনার সঞ্জু স্যামসনকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। ব্যক্তিগত ১০ রানে শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সঞ্জু।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন তানজিম সাকিব। তার ছোড়া ১৪৭ কি.মি গতির বলে উড়ে যায় আরেক ওপেনার অভিষেকের স্ট্যাম্প। ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন অভিষেক। পাওয়ারপ্লে’র শেষ ওভারে ভারতীয় শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। শান্তর তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার।
এরপর ইনিংসের গল্পে আবির্ভাব ঘটে নিতিশ-রিঙ্কুর। দুজন মিলে গড়েন ১০৮ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৭৪ রানে মোস্তাফিজের বলে মিরাজের ক্যাচে পরিন্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন নিতিশ। অর্ধশতক তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে তাসকিনের বলে জাকেরের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিঙ্কুও।
হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩২ ও ১৫ রান। শেষ পর্যন্ত ২২১ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে ৫৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। ২টি করে উইকেট তুলে নেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
উল্লেখ্য, দু’দলের এর আগের ১৫ বারের দেখায় ১৪ বারই জিতেছে ভারত। ২০১৯ সালে দিল্লির এই স্টেডিয়ামেই একমাত্র জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশ।