ক্রীড়া ডেস্ক
ইউরোর এবারের আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ইটালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। ফাইনালে শেষ মুহূর্তের নায়ক এই গোলরক্ষক। পেনাল্টি শ্যুটআউটে দুটি শট ঠেকিয়ে ইটালিকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বাফনের নামের সঙ্গে অর্ধেক মিল। পোস্টের নিচে ক্ষিপ্রতাও প্রায় বাফনের মত। শুধু তাই নয়, অনেকটাই এগিয়ে তিনি। না হয়, ইংলিশ সানচো আর বুকাইয়ো সাকার শট ঠেকিয়ে দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হতো না। এ দুটি শট তিনি ঠেকিয়ে দিয়েছেন, আর তার অ্যাপ্রোচ দেখে মার্কাস রাশফোর্ড বল মেরে দিয়েছেন সাইডবারে।
দুটি শট ঠেকিয়ে দিতে না পারলে হয়তো চ্যাম্পিয়ন হওয়া লাগতো না ইতালিকে। পুরো টুর্নামেন্টেই ইতালিকে মাত্র চারটি গোল হজম করান তিনি। গ্রুপ পর্বে ছিলেন ক্লিনশিট। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে প্রতি রাউন্ডেই ১টি করে গোল হজম করেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে মাত্র চারবার ডোনারুমাকে পরাস্ত করতে পেরেছিল প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা। যে কারণে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারটা উঠলো ডোনারুমার হাতেই। যদিও ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হলে হয়তো এই পুরস্কারটা বাগিয়ে নিতে পারতেন তাদের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
এ ছাড়াও আসর সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কার গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন তিনি।
তবে অন্য সবাইকে বাদ দিয়ে ডোনারুমাকেই আসর সেরার পুরস্কার তথা গোল্ডেন বলের জন্য বেছে নেয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে ইউরোর টেকনিক্যাল কমিটি।
তারা জানায়, ডোনারুমা তিন ম্যাচে ক্লিনশিট ছিলেন। করেছেন ৯টি দুর্দান্ত সেভ। সেমিফাইনালেও ছিলেন পেনাল্টি শ্যুট-আউটের হিরো। একইভাবে ফাইনালেও হলেন পেনাল্টি শ্যুট-আউটের হিরো। সুতরাং, সেরার পুরস্কারটা তো তার হাতেই মানায়।
এ ছাড়া এবারের টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সেরা প্রতিভা হিসেবে বেছে নেয়া হয় স্পেনের পেদ্রিকে। আর গোল্ডেন বুট জিতেন পর্তুগাল কাপ্তান রোনালদো।
ইফাত
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন