প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
বড় টুর্নামেন্টে খেলার মোড় পরিবর্তনে সক্ষম এমন ক্রিকেটারদের দিকে চোখ থাকে সবার। যদি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন কয়েকজন ক্রিকেটার বাছাই করা হয়, সেক্ষেত্রে সবার আগে চলে আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নাম। অথচ গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেই ছিলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচেই রিয়াদের পারফরম্যান্স আলাদা করে দেখার মতো।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার ১২৫ রানের জবাবে মাঝপথে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ৯১ রানে থাকা বাংলাদেশ, ১১৩ রানেই হারিয়ে বসে ৮ উইকেট। তীরে এসে ডুবতে থাকা বাংলাদেশকে টেনে তুলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ রানে শেষমেষ জয় পায় বাংলাদেশ।
এই শ্রীলংকার বিপক্ষে হারলে সুপার এইটের লক্ষ্যযাত্রায় শুরুতেই থাক্কা খেতো বাংলাদেশ। টাইগারদের সেই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই দেন রিয়াদ। শুধু তাই নয়, চলতি বিশ্বকাপে প্রয়োজনের সময় বল হাতেও দুর্দান্ত রিয়াদ। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৪ রান দেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব আল হাসান বল করতে পারেন স্রেফ এক ওভার। আর মাহমুদউল্লাহ বনে যান নিয়মিত স্পিনার। ৩ ওভার বল করে ১৭ রান দেন রিয়াদ। উইকেটবিহীন থাকলেও বেশ আঁটোসাঁট বোলিংই করেন তিনি।
পরে রান তাড়ায় বাংলাদেশকে জয়ের কক্ষপথেই রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কেশভ মহারাজের বিপক্ষে যে বলটি উড়িয়ে মেরেছিলেন, তা ছক্কা হওয়ার মতোই। কিন্তু বিপরীত দিক থেকে আসা বাতাসের কারণে ওইদিন ছক্কা পাননি রিয়াদ। বল ধরা পড়ে এইডেন মার্করামের হাতে। আউট হওয়ার আগে রিয়াদ করেন ২৭ বলে ২০ রান।
আর গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রিয়াদ খেলেছেন দুটি করে চার এবং ছক্কায় ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংস। বল হাতে মাত্র ১ ওভার বল করে তিনি সাজঘরে ফেরার ভয়ংকর হয়ে উঠা বিক্রমজিৎ সিংকে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ডানহাতি স্পিনার আনতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনয়কের সে পরিকল্পনা সফল করেন রিয়াদ।
সুপার এইটের টিকিট পেতে অনেকটাই বিপদমুক্ত বাংলাদেশে। এর আগে অবশ্য নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। সুপার এইট পর্বে প্রতিটি দল খেলবে তিনটি করে ম্যাচ। সেমিতে যেতে অন্তত দুইটি ম্যাচ জিততে হবে। আইসিসি আসরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ খেলেছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। এবার কি নতুন উচ্চতায় যেতে পারবে বাংলাদেশ? যেখানে বড় অবদান রাখতে হবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই।