• ঢাকা সোমবার
    ০১ জুলাই, ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার বল হাতে গড়লেন বিরল রেকর্ড

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার বল হাতে গড়লেন বিরল রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক

আইসিসির দুই সহযোগী দেশ উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি আজ মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপের ম্যাচে। লো স্কোরিং এই ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা উগান্ডা। দারুণ এক জয়ে গড়েছে ইতিহাস।

উগান্ডার জয়ের দিনে বল হাতে বিরল এক রেকর্ড গড়েছেন এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার ফ্রাঙ্ক এনসুবুগা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি তিনি। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চেনালেন। প্রমাণ করলে বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রে, রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রে বয়স কোনো ব্যাপার না।

প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাপুয়া নিউগিনিকে ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট করে উগান্ডা। বল হাতে দুর্দান্ত করেন ৪৩ বছর বয়সী এনসুবুগা। ৪ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ মাত্র ৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ইকোনোমি মাত্র ১.০০।

এর মাধ্যমে বিরল এক রেকর্ড (মোস্ট ইকোনোমিকাল স্পেল) গড়েন এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তার চেয়ে কম ইকোনোমি নেই আর কারও।

এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেন সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে সেরা ইকোনোমিক্যাল স্পেলে বোলিং করা অটনিল বার্টম্যানের রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার ৪ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ মাত্র ৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। ইকোনোমি ছিল ২.২৫।

এনসুবুগার পর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আজ তৃতীয় সেরা ইকোনোমিক্যাল স্পেলে বোলিং করেন সতীর্থ জুমা মিয়াগি। তিনি ৪ ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ইকোনোমি ছিল ২.৫০।

এবারের বিশ্বকাপেই চতুর্থ সেরা ইকোনোমিক্যাল বোলিং স্পেল করেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং আইরি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মঙ্গলবার তিনি ২ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ইকোনোমি ছিল ৩.০০।

এনসুবুগা কেবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ইকোনোমিক্যাল স্পেলই করেননি আজ। ৪ ওভার বল করে ২০টি ডটবল দেওয়ারও রেকর্ড গড়েন। তার আগে ২০১২ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অজান্তা মেন্ডিস দিয়েছিলেন ৪ ওভারে ২০টি ডটবল।

এনসুবুগা আজ নবম ওভারে আসেন বল করতে। ওই ওভারে মাত্র ২ রান দেন। পরের ওভারে এসে কোনো রান না দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন। বোল্ড করেন চার্লেস আমিনিকে। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন উইকেট। ফেরান হিরিহিরিকে। ওই ওভারেও তিনি কোনো রান দেননি। এরপর চতুর্থ ওভারে দেন মাত্র ২ রান। স্পেল শেষ করেন ৪-১-৪-২ এ।

আর্কাইভ