প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৭:৫৯ এএম
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর লড়াইটা দারুণভাবে শুরু করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি কোপেনহেগেনকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। পার্কেন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমার্ধে পেপ গার্দিওলার দল ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল। আগামী ৬ মার্চ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ম্যাচ শেষে স্বস্তি থাকলেও মাঠে ম্যানসিটিকে মোটেও স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি কোপেনহেগেন। শুরুতেই স্বাগতিক দল গোল হজম করলেও সমানতালে জবাব দিয়ে যাচ্ছিল তারা। তাইতো অস্বস্তি বেড়ে চলেছিল সফরকারী ম্যানসিটির। আর ৩৪ মিনিটে তো শিরোপা প্রত্যাশীদের হতবাক করে দেয় কোপেনহেগেন। ম্যাগনাস ম্যাটসন খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। কোপেনহেগেনের হয়ে এটা ছিল ম্যাটসনের অভিষেকের ম্যাচ। গত ১ ফেব্রুয়ারি এনইসি নিজমেগান থেকে কোপেনহেগে যোগ দিয়েছেন তিনি। ফলে এমন অভিষেক হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি ম্যাটসন।
কোপেনেগেনের গোলের পর ম্যানসিটি এগিয়ে যাওয়ার জন্য একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে। এরই মধ্যে কোচ পেপ গার্দিওলার জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় জ্যাক গ্রেলিসের ইনজুরি। তবে বিরতির আগেই কোচের সব দুঃশ্চিন্তা দূর করে দেন বের্নান্ডো সিলভা। বিরতির বাঁশি বাজার আগেই দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
প্রথমার্ধে কেভিন ডি ব্রুইন ও সিলভার গোলে দুঃশ্চিন্তা দূর হলেও অস্বস্তি যাচ্ছিল না গার্দিওলার। যে কোনো সময় খেলায় সমতা ফিরে আসতে পারে, হারাতে হতে পারে পয়েন্ট। ফিরতি লেগের ম্যাচটা তখন কঠিন হয়ে দেখা দিতে পারে। এই অস্বস্তি দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময়ই বয়ে বেড়াতে হয়েছে গার্দিওলাকে।
কোপেনহেগেন এ সময়ে আর গোল না হজম করার প্রতিজ্ঞা নিয়েই রক্ষণভাগকে নিশ্ছিদ্র করে রেখেছিল। তাইতো ম্যানসিটির সব আক্রমণ থমকে দাঁড়াচ্ছিল। তবে ফিল ফোডেনের এক ঝটকায় তাদের রক্ষণভাগ স্বল্প সময়ের জন্য আলগা হয়ে যায়। আর সে সময়ে ফিল ফোডেন কোচের মুখে চওড়া হাসির ব্যবস্থা করে দেন। তখন ম্যাচের বয়স ৯২ মিনিট। ফলে কোপেনহেগেনের মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। আর ফোডেনের গোল ম্যানসিটির জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচ শেষে পেপ গার্দিওলা বলেন, সত্যিই এটা চমৎকার জয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ জয়। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। তৃতীয় গোলটি আমাদের স্বস্তি এনে দিয়েছে। আশা করছি নিজেদের মাঠের খেলায় বাকি কাজটা ভালোভাবেই সারতে পারবো এবং পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারবো।`