প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ১১:০২ এএম
বিশ্বকাপ আর কোপা আমেরিকা জয়ের আগে লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক শিরোপা বলতে সবেধন নীলমনি ছিল অলিম্পিক সোনা। ২০০৮ সালে এই শিরোপা জয় করেছিলেন। ক্যারিয়ারের প্রথম এই আন্তর্জাতিক শিরোপার প্রতি একটু বেশি দুর্বলতা লিওনেল মেসির। তাইতো প্যারিস অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা।
সোমবার ভোর পর্যন্ত সেই স্বপ্ন অনেকটা ঝুলে ছিল আর্জেন্টিনা ও লিওনেল মেসির। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বে চূড়ান্ত রাউন্ডের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে কঠিন এক জয়ের পর সেই পথটা এখন পরিস্কার। সবকিছু ঠিক থাকলে মেসিকে আবার দেখা যেতে পারে অলিম্পিকে। প্যারিস অলিম্পিক অবশ্য আগে থেকেই মেসিকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুত।
অলিম্পিক প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ তো আগেই থেকে মেসিকে বরণ করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। জানিয়েছেন, অলিম্পিকে মেসি আসলে অলিম্পিক ফুটবলের মান অনেকটা বেড়ে যাবে। এদিকে অলিম্পিক ফুটবলে আর্জেন্টিনা দলের কোচ হাভিয়ের মাশচেরানোও মেসির জন্য অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে দলটির বর্তমান অধিনায়ক থিয়াগো আলমাদাও মেসিকে দলে স্বাগত জানানোর কথা বলেছেন। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর আলমাদা বলেন, আমি মনে করি মেসির অলিম্পিকে খেলার একটা স্বপ্ন রয়েছে। তাকে আমরা অলিম্পিকে দেখতে চাই। যদি মেসি আমাদের দলে যোগ দেন তাহলে আমি অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তাকে দিতে চাই। এখন সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন।
অলিম্পিক ফুটবলে সাধারণ অনুর্ধ্ব-২৩ দল খেলে থাকে। তবে তিনজন খেলোয়াড় বয়সসীমার বাইরে থাকা খেলোয়াড়ও খেলতে পারেন। সে তালিকাতেই দেখা যেতে পারে মেসিকে। এদিকে আর্জেন্টিনা দলের অলিম্পিক খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর মেসি দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্যারিস অলিম্পিকে মোট ১৬টি দল অংশ নেবে। এরই মধ্যে ১২টি দল চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। দলগুলো হলো-ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ডোমিনিকান রিপাবলিক, স্পেন, ইসরায়েল, ইউক্রেন, মরক্কো, মিশর, মালি, নিউজিল্যান্ড, প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনা।
অলিম্পিক ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল হাঙ্গেরি ও গ্রেট ব্রিটেন। এই দুই দেশ তিনবার করে শিরোপা জয় করেছে। দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।