• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এশিয়ান কাপ ফুটবল

ইরানকে বিদায় করে ফাইনালে কাতার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৯:২৩ এএম

ইরানকে বিদায় করে ফাইনালে কাতার

ক্রীড়া ডেস্ক

পারলো না ইরান। আগে গোল করেও এশিয়ান কাপ ফুটবলের ফাইনালে পৌঁছাতে পারলো না। স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাতারের কাছে ৩-২ গোলে হেরে তারা বিদায় নিয়েছে। শিরোপা লড়াইয়ে কাতার এখন জর্ডানের মোকাবেলা করবে। শনিবার শিরোপা নির্ধারণী এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ইরানের হৃদয় ভাঙ্গে কাতারের আলমোয়েজ আলী। ২-২ গোলে অমীমাংসিতভাবে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচে ৮২ মিনিটে তিনি জয়সূচক গোলটি করেন। গত বছর ইরানের কোচ আমির ঘালেনোই দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ইরানের প্রথম হার।

ম্যাচের শুরুতেই ইরান গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে কাতারের রক্ষণভাগের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে  নিয়েছিলেন সরদার আজমোউন। এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ইরান বিরতিহীনভাবে কাতারের রক্ষণভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছিল। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে কাতার দ্রুত ম্যাচে ফিরে আসে। জাসেম গাবেরের দূর পাল্লার শট ইরানের গোলরক্ষককে পরাভূত করে জালে আশ্রয় নেয়।

সমতা আনার পরপরই কাতার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু আফিফ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তবে স্কোরশিটে তিনি ঠিকই নাম লিখিয়েছেন। বিরতির একটু আগেই আফিফ টুর্নামেন্টে তার পঞ্চম গোলটি পেয়ে যান।  খুব বেশিক্ষণ এ গোলের উচ্ছ্বাস টেকেনি কাতারের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় ইরান।

সমতা ফেরানোর পর ম্যাচের শেষ দিকে ইরান তৃতীয় গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি, বরং কাতার ইরানকে স্তদ্ধ করে দিয়ে তৃতীয় গোল আদায় করে নেয়। গোলটি করেন আলমোয়েজ আলী।

২০১৯ সালের টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবারের টুর্নামেন্টে গোল করায় ভুগছিলেন। এ গোলের আগ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মাত্র একটি গোল পেয়েছিলেন। যার ফলে তার ওপর চাপ বেড়েই চলছিল। এ গোল তাকে সে চাপ থেকে মুক্তি দিয়েছে।

ইনজুরির সময়ের খেলা হয়েছে ১৩ মিনিট। এ সময়ে ইরানের ম্যাচে ফেরার যে সম্ভাবনা ছিল তা শেষ হয়ে যায় এক লাল কার্ডে। খালিলজাদেহকে লাল কার্ড দেখিয়ে বহিস্কার করেন রেফারি। তবে দুর্ভাগ্য ইরানের, তাদের হতাশাও বাড়িয়ে জাহেনবাখের এক সুযোগ নষ্টের ঘটনা। চূড়ান্ত মুহুর্তে তার নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ইরানের বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে যায়।

 

আর্কাইভ