প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
শক্তির বিচারে অনেক অনেক পিছিয়ে থাকা জর্ডানের কাছে হেরে এশিয়ান কাপ ফুটবলের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ ব্যর্থতার দায় পুরোটাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন দলটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান। তবে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
জার্মানির জাতীয় দলের সাবেক কোচ ক্লিন্সম্যান সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার পারফরম্যান্সে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, তার দলের জন্য এটা উপযুক্ত ফল নয়। বরং তার দল ফাইনালে খেলার উপযোগী ছিল।
ক্লিন্সম্যান বলেন, টুর্নামেন্টে দল কেমন খেললো তার সব দায় দায়িত্ব কোচের। অবশ্যই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি, ফাইনালে পৌঁছাতে পারিনি। তবে যাই হোক না কেন, খেলার ফল মেনে নিতে হবে। এ ম্যাচের আমাদের হারের একটাই কারণ, জর্ডান ভালো খেলেছে।
ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়াবেন কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে ক্লিন্সম্যান বলেন, আমার এখনই এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন আমি এই টুর্নামেন্টে আমাদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করবো। দল নিয়ে কোরিয়াতে ফিরে যাব। তারপর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো। এই টুর্নামেন্টে আমাদের প্রাপ্তি সম্পর্কে জানাবো।`
ক্লিন্সম্যান আরো বলেন, এই দলে অনেক ভালো কিছু রয়েছে। দলটা ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই দলের আরো উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। তবে আমাদের সামনে বাছাই পর্বের কঠিন যাত্রা অপেক্ষা করছে। সুতরাং আমাদেরকে এখন অনেক কাজ করতে হবে।
ম্যাচ হারের পর অনেক কোরিয়ান খেলোয়াড়, সমর্থক এবং কোরিয়ান সাংবাদিকরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু বিপরীত ছিল ক্লিন্সম্যানের বেলায়। তিনি হাসিমুখে জর্ডানের কোচকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ক্লিন্সম্যান বলেন, আমি প্রচণ্ড হতাশ। আমি ক্ষুদ্ধ, কেননা আমাদের আরো ভালো করা উচিত ছিল। যখন একটা ম্যাচ শেষ হয়, তখন আমি অন্য কোচকে অভিনন্দন জানাই এবং হাসিমুখে সেটা করে থাকি। এটা বড় কোনো বিষয় নয়।`
ক্লিন্সম্যান আরো বলেন, তখন আমি হেসেছিলাম তার অর্থ এই নয় যে, আমি এখন সারারাত ঘুরে বেড়াব এবং হাসি মুখে থাকবো। যাহোক আমাদের হারের অবশ্যই কারণ রয়েছে। এই কারণগুলো মেনে নিতেই হবে। কেননা মাঠে তারা আমাদের থেকে ভালো খেলেছে, এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে হবে।`