• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইরাকের বিদায়, জর্ডান ও কাতার কোয়ার্টার ফাইনালে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ১০:৪৪ এএম

ইরাকের বিদায়, জর্ডান ও কাতার কোয়ার্টার ফাইনালে

ক্রীড়া ডেস্ক

দূর্ভাগ্য ইরাকের। দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেও এশিয়ান কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে পারলো যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি। নিজেদের দোষেই কপাল পুড়েছে ইরাকের। নাটকীয় ম্যাচে তাদেরকে ২-৩ গোলে হারিয়ে জর্ডান পৌঁছে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা তাজিকিস্তানের মুখোমুখি হবে।

কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল ইরাক। ৯৪ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু ইনজুরি সময়ে দুই গোল হজম করে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ইরাক। ৯৫ ও ৯৭ মিনিটে মূল্যবান এই গোল দুটো করেন ইয়াজান আল আরব ও নিজার আল রাশদান।

ইরাকের দুর্ভাগ্য শুরু ৭৭ মিনিটে। তার আগের মিনিটে আয়মান হুসেন গোল করে ইরাককে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন। আয়মানের এই গোল ইরাকের বিপদ ডেকে আনে। ৭৬ মিনিটে আয়মান গোল করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে  গোল উৎসবে মাতেন। এ অপরাধে রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বহিস্কার করেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আয়মানকে হারিয়ে ইরাক পথ হারিয়ে ফেলে।

মূলত জর্ডান তাদের তিনটি গোলই করে ইনজুরি সময়ে। প্রথম গোল পায় তারা প্রথমার্ধের প্রথম মিনিটে। গোলটি করেন ইয়াজান আল নিয়ামত। এটিই ছিল ম্যাচের প্রথম গোল। এ গোলেই জর্ডান এগিয়ে যায়। ৬৮ মিনিটে ইরাককে খেলায় ফিরিয়ে আনেন সুয়াদ নাতিক নাজি। আর ৭৬ মিনিটে আয়মান গোল করে ইরাককে এগিয়ে নেন। তারপর যা করেছেন তা সত্যিই নিয়ম বহির্ভূত বিষয়। গোল উৎসব করতে গিয়ে মাঠে বসে খাওয়া দাওয়ার অভিনয় করেন। সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখান। দ্বিতীয় হলদু কার্ড হওয়ায় মাঠ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। তার সঙ্গে সঙ্গে ইরাকও জয়ের পথটা হারিয়ে ফেলে।

দিনের অন্য ম্যাচ কাতার ২-১ গোলে ফিলিস্তিনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে। 


 

আর্কাইভ