• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২১, ০৪:০২ এএম

ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক

সবশেষ ৫৫ বছরে কোনো বড় আসরের ফাইনালে যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে তাদের দুঃখ ঘুচেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাম লেখালো থ্রি লায়ন্সরা।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টির কল্যাণে পাওয়া গোলে ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। তবে বেশি ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়েই খেলেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ডেনমার্কের রক্ষণ আর গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেল বারবারই প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশিরভাগ সময়। 

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই ভালো একটি সুযোগ এসেছিল থ্রি লায়ন্সদের সামনে। ডানদিক থেকে হ্যারি কেইনের বাড়ানো লম্বা পাস বক্সের মধ্যে পেয়েও একটুর জন্য পা ছোঁয়াতে পারেননি রহিম স্টার্লিং। চার মিনিট বাদে প্রায় একইরকম লম্বা পাস থেকে বল একাই বক্সে পেতে যাচ্ছিলেন ডেনমার্কের মিকেল ড্যামসগার্ড। কিন্তু ইংলিশ রক্ষণে আটকে যায় তার সে চেষ্টা। 

২৫ মিনিটে ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ড্যামসগার্ড। ডান পায়ের শটে বল টার্গেটে রাখতে পারেননি তিনি। তবে এই ম্যাচে গোলের দেখা পাওয়া ৩০ মিনিটের মাথায়। ডেনমার্কের হয়ে ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ালেন ড্যামসগার্ড। ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত গোল করেন তিনি।

তবে খুব বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি ডেনমার্ক। ৩৯ মিনিটে সাইমন জায়েরের আত্মঘাতী গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায়।

ইউরোয় এর আগে আর কোনো ড্যানিশ ফুটবলার আত্মঘাতী গোল করেননি। চলতি ইউরোয় এই নিয়ে মোট ১১টি আত্মঘাতী গোল হলো। আগের সবক'টি ইউরো মিলিয়ে মোট ৯টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলতে থাকে দুই দল। একের পর চেষ্টা চালিয়ে যায় গোলের জন্য। তবে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয় দুই দলের।

দ্বিতীয়ার্ধে কোন গোলের দেখাই পায়নি ইংল্যান্ড ও ডেনমার্ক। যার ফলে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোন ফলাফল না আসায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ২০০০ সালের পর থেকে এই প্রথমবার ইউরোর দুটি সেমিফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ে ৯৪ মিনিটে আক্রমণে যায় হ্যারি কেনের কিন্তু ডেনমার্কের গোলকিপার ক্যাসপা ভালো ভাবেই হ্যারিকে প্রতিহত করেন। ৯৫ মিনিটে রাইস ও মাউন্টকে তুলে নিয়ে হেনডারসন ও ফডেনকে মাঠে নামায় ইংল্যান্ড। পরে ৯৮ মিনিটে আক্রমণে যায় ইংল্যান্ডের স্টার্লিংয়। তবে তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

১০২ মিনিটের মাথায় নিজেদের বক্সে স্টার্লিংকে ফাউল করে বসেন মাহলে। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি উপহার দেন ইংল্যান্ডকে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন হ্যারি কেন। যার ফলে ইংল্যান্ড ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ডেনিশরা। যার ফলে ফানাইলে উঠলো ইংল্যান্ড। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ উড়তে থাকা ইতালি।

মামুন

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ