• ঢাকা শনিবার
    ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১

হারারেতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে টাইগাররা

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১, ০৭:৫৬ পিএম

হারারেতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে টাইগাররা

ক্রীড়া ডেস্ক

হারারে টেস্টে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছেন টাইগাররা। প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে ৭০ তুলতে গিয়েই উইকেট হারায় টাইগাররা। প্রথম সেশনের চেয়ে দ্বিতীয় সেশনটা অপেক্ষাকৃত ভালো কাটলেও হারায় আরও ৩টি উইকেট। সেশনে ২৬ ওভারে ৯৭ রান তুলেছে মমিনুলরা।

দ্বিতীয় সেশনে পরপর দুই ওভারে আউট হন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম আর সাকিব আল হাসান। পরে সাজঘরে ফিরেন অর্ধশতক করা দলনেতা মমিনুলও। টাইগারদের এমন বেহাল দশায় হাল ধরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লিটন কুমার দাস। টেনে নিয়েছেন তৃতীয় সেশন অবধি।

প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত ষষ্ঠ উইকেটের জুটি ২৯ ওভার বল খেলে করেছেন ৯৭ রান। এতে বিপদ অনেকটা সামলে উঠেছে টাইগাররা। অর্ধশতক করে ৬৭ রানে মাঠে অপরাজিত আছেন লিটন। আর ব্যাক্তিগত ৩৫ রানে তার সঙ্গ দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। এতে ৬৫ ওভার চার বল খেলে উইকেট হারিয়ে দলীয় রান  সংখ্যা ২২৯।

হারারের অনেকটাই অপরিচিত উইকেটে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু কিছুই যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়েতে টেস্ট খেলতে যাওয়া সাইফ-শান্তরা।

ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই ব্লেসিং মুজারবানির দারুণ এক ডেলিভারিতে বোকা বনেন সাইফ। ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন, ব্যাটটা যেন একটু দেরিতে আসে। আর ততক্ষণে সহজেই বল স্টাম্পে আঘাত হানে। টেস্ট ক্যারিয়ারের আট নম্বর ইনিংসে তৃতীয় শূন্যের দেখা পান সাইফ।

মুজারবানির আরেক ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র রান করে সাঁজঘরে ফিরে আরও একবার যেন বুঝিয়ে দিয়েছেন, নতুন বলে তিনি বেশ বেমানান।

ব্যাটিং বিপর্যয় প্রতিরোধে তৃতীয় উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল সাদমান। তবে লাঞ্চের আগে এনগারাভার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ২৩ রান করে সাঁজঘরে ফিরেন সাদমান।

এরপর মাঠে নামে মুশফিক। ২৩ ওভারে উইকেটে ৭০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর অভিজ্ঞ মুমিনুল-মুশফিকের জুটিটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু হতাশ করেন মুশফিক। মুজারবানির তৃতীয় শিকার হন টাইগার দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। লাইন বুঝতে না পেরে হাত উঁচু করে বলটি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন মুশফিক, কিন্তু সেটি আঘাত হানে প্যাডে। আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। মুশফিক খুব একটা খুশি ছিলেন না, কিন্তু রিভিউ না থাকায় ১১ রানেই থামতে হয় তাকে।

এরপরের ওভারেই উইকেট বিলিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। নিয়াচির বাইরে থাকা বলটি স্কয়ার ড্রাইভ করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, করেন রান। ১০৯ রানেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগেই অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ইনিংসের ২৭তম ওভারে মুজারবানিকে স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি পূরণ করেন টাইগার দলপতি।

লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে একটি জুটিও গড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বড় হয়নি জুটিটি তারই ভুলে। নিয়াচিকে কাট করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ হন মুমিনুল। ৯২ বলে তার ৭০ রানের ইনিংসটিতে ছিল ১৩টি বাউন্ডারি।

এরপর হাল ধরেছেন মাহমুদউল্লাহ আর লিটন। দুজনই দেখেশুনে দারুণ খেলে যাচ্ছেন, কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না। তাই এই জুটিতে ভর করে পুঁজিটা বড় করার আশায় টাইগাররা।

ইফাত/নির্জন

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ