প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ‘হোম অফ ক্রিকেট’-খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচে একতরফা রাজত্ব করে স্পিনাররা। ব্যাটাদের যেন এই উইকেটে কিছুই করার ছিল না। এতে করে পাঁচ দিনের ম্যাচ শেষ হয়ে যায় চার দিনে।
তার মধ্যে চার সেশন বৃষ্টিতেই ভেস্তে যায় খেলা, অনুষ্ঠিত হয় মাত্র ১৭৮ ওভারের। পরে এই ম্যাচ শেষে উইকেট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন সফরকারী দলের অধিনায়ক টিম সাউদি। এবার মিরপুরের উইকেট নিয়ে ‘অসন্তোষজনক’ প্রকাশ করল আইসিসি।
বৈশ্বিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পিচ এবং আউটফিল্ড মনিটরিং প্রসেসের অধীনে এই রেটিং পেয়েছে দ্বিতীয় টেস্টের পিচ। সেই সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। ঐ টেস্টে মোট ৩৬টি উইকেটের পতন হয়, যার মধ্যে ৩০টিই গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে। বিশেষ করে পিচের আচরণ থেকে সহায়তা পেয়েছেন স্লো পেস বা স্পিন বোলাররা। খেলা শেষে পিচ নিয়ে দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনার পর ম্যাচ অফিশিয়ালদের উদ্বেগের ব্যাপারটি আইসিসির কাছে পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন।
মিরপুর স্টেডিয়ামকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ার বিষয়টি গতকাল আইসিসি তাদের একটি প্রতিবেদন আকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর কাছে পাঠানো হয়। বিসিবি চাইলে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে এই ডিমেরিট পয়েন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে আপিল করতে পারবে।
আইসিসি ম্যাচ রেফারি বুন মিরপুরের এই উইকেট নিয়ে বলেন, ‘আউটফিল্ডটি খুব ভালো ছিল, তবে সেই পিচে ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল না। প্রথম দেখায় মনে হয়, এই উইকেটে ম্যাচ পরিচালনা করা যাবে, তবে বৃষ্টির কারণে উইকেটটি ভেজা ছিল। সেই সঙ্গে প্রথম দিনে ঘাসের ছাঁটে ঢাকা ছিল পিচ। প্রথম সেশনের পর থেকে, ম্যাচের বাকি অংশ জুড়ে বাউন্স ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’
এর আগে ঢাকা টেস্ট শেষে মিরপুরের উইকেট নিয়ে ক্ষোভ জানান কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। এই কিউই অধিনায়কের মতে তার ক্যারিয়ারে দেখা সবচেয়ে খারাপ উইকেট এটি। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন মিরপুরের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা এক বছর সময় পেলে মিরপুরের উইকেট পরিবর্তন করে পেলতাম, তবে সারা বছর খেলা থাকায় আমরা এক মাসও সময় পাই না।’
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিং-প্রক্রিয়ায় পিচ বা আউটফিল্ড নিম্নমানের হলে একটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়। ডিমেরিট পয়েন্ট কার্যকর থাকে পাঁচ বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে কোনো ভেন্যু ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেই ভেন্যু এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। ১২ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকে দুই বছরের।
জেকেএস/