প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ১১:২৯ পিএম
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। আর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এবারের বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে যে পেসারদের নিয়ে আশার আলো দেখেছিল দল, তারা কেউই জ্বলে উঠতে পারেনি। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ-ই হচ্ছে মুস্তাফিজ, তাসকিনদের জ্বলে উঠতে না পারা।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। আর এই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছে বাংলাদেশের পেসাররা। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের পেসাররা ছিল দ্বিতীয় সফলতম বোলার। আর স্পিনে তো পেয়েছিলো বিশ্বসেরার তকমা। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোন বোলার-ই জ্বলে উঠতে পারেনি।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পেসাররা নিয়েছে মোট ২৬ উইকেট। তাদের থেকে পিছিয়ে আছে শুধুই আফগানিস্তান। তাদের উইকেট ২১টি। যদিও বিশ্বকাপে আফগানিস্তান পুরোপুরি স্পিননির্ভর বোলিং আক্রমণ নিয়েই এসেছে।
বাংলাদেশের পেসাররা বিশ্বকাপে করেছেন ২০৯.২ ওভার। আর আফগানিস্তান করেছে ১৩১.৪ ওভার। প্রতি উইকেটের জন্য টাইগার পেসাররা খরচ করেছেন প্রায় ৫১ রান। আর আফগান পেসারদের খরচ করতে হয়েছে মোটে ৪০.৪৭ রান।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বের ৯ ম্যাচে প্রোটিয়ার পেসাররা নিয়েছেন ৬০ উইকেট। পেস নির্ভর দল গঠন করে সাফল্য পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া পেসাররা প্রতি উইকেটের জন্য ২৫.৫৬ রান খরচ করেছে।
তবে গড় ও ইকোনমিতে বাকি সবাইকে টেক্কা দিয়েছে স্বাগতিক ভারতের পেসাররা। প্রতিটি উইকেট শিকারে গড়ে ১৮ এর কিছু বেশি রান খরচ করেছেন মোহাম্মদ শামি-বুমরাহরা। ওভারপ্রতি মাত্র ৪.৭৭ ইকোনমি রেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩ উইকেট শিকার করেছেন ভারতীয় পেসাররা। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের পেসাররা ছাড়া সকল দলের পেসাররাই গ্রুপ পর্বে কমপক্ষে ৪০ উইকেট করে নিয়েছেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/