• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আসালঙ্কার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জিং স্কোর

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৩, ১২:৫৫ এএম

আসালঙ্কার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জিং স্কোর

ক্রীড়া ডেস্ক

টস জয়ের পর নতুন বল হাতে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলামরা। পেসারদের পর স্পিনাররাও মাঝের ওভারগুলোতে লঙ্কান ব্যাটারদের চেপে ধরেছিলেন। কিন্তু শেষদিকে রানের লাগাম টানতে পারেনি সাকিবের দল। তাতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছে লঙ্কানরা। ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেছেন চারিথ আসালঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ইনিংস শুরু করেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসার প্রথম ওভারেই সাকিবের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। ষষ্ঠ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে পরে আরো বাইরে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় জায়গায় দাঁড়িয়ে শট খেলতে যান কুশল পেরেরা। ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুশফিক। পেরেরা ফেরেন ৪ রান করে।

প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর প্রথম পাওয়ার প্লেতে আর সফলতার দেখা পায়নি। ফলে ১০ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৫২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। ১১তম ওভারে প্রথমবার স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিজেই হাতে বল তুলে নেন। সাকিবের ওভারের তৃতীয় বলটি স্লটেই ছিল সেখানে এক পা এগিয়ে লং অনের ওপর দিয়ে উঠিয়ে মারতে যান কুশল মেন্ডিস। ঠিকমতো খেলতে না পারায় শরিফুলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ১৯ রান।

আজকের ম্যাচের আগে আবংলাদেশের স্কোয়াডের ১৪ জনই ম্যাচ পেয়েছিলেন। বাকি ছিলেন কেবল তানজিম সাকিব। অবশেষে মুস্তাফিজের চোটে সুযোগ আসে তারও। খেলতে নেমে বল হাতে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা মুশফিকের নাগালের বাইরে দিয়ে যায়। ফলে বিশ্বমঞ্চে উইকেটের স্বাদ নিতে অপেক্ষা বাড়ে তার। তবে সেটা খুব বেশি দীর্ঘ হয়নি। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ৪১ রান করা নিশাঙ্কাকে বোল্ড করেছেন ডানহাতি এই পেসার।

দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন চারিথ আসালঙ্কা-সাদিরা সামারাবিক্রমা।তাদের পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটিতে লড়াই জমিয়ে তুলছিল শ্রীলঙ্কা। ৪১ রান করা সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন সাকিব।

সামারাবিক্রমা সাজঘরে ফেরার পর উইকেটে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তিনি যে হেলমেট নিয়ে উইকেটে আসেন সেটিতে নিরাপদ বোধ করছিলেন না। তাই বল খেলার আগেই নতুন আরেকটি হেলমেট নিয়ে আসা হয়। সেটিতেও খানিকটা সমস্যা ছিল। তাই আবারো হেলমেট পরিবর্তন করতে চান ম্যাথিউস। কিন্তু ততক্ষণে ২ মিনিট পার হয়ে যায়। তাতে টাইমড আউটের আবেদন করেন সাকিব। আর তাতে নিয়ম অনুযায়ী আউট দেন আম্পায়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথমবার ঘটল এমন ঘটনা। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে ৬ বার টাইম আউটড হয়েছেন ব্যাটাররা।

বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী—কোনো ব্যাটার আউট হওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে নতুন ব্যাটারকে বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে এমসিসির নিয়ম অনুযায়ী—ওয়ানডেতে কোনো ব্যাটার আউট হওয়ার ৩ মিনিটের মধ্যে নতুন ব্যাটারকে বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যেহেতু এই ম্যাচটি বিশ্বকাপের অংশ, তাই এখানে বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনই কার্যকর হয়েছে।

ম্যাথিউসের বিতর্কিত আউটের পর বড় জুটির পথে ছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা-চারিথ আসালঙ্কা। তবে ৩৮তম ওভারে মিরাজকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন ধনাঞ্জয়া। উইকেটের পেছনে মুশফিক প্রথম দফায় বল ধরতে পারেননি। তবে পরের দফায় স্টাম্প ভেঙেছেন, আরও নিশ্চিত হতে স্টাম্প উপড়ে ফেলেছেন। ধানাঞ্জয়া এতটাই দূরে ছিলেন যে, ক্রিজে ফেরার চেষ্টাটুকুও আর করেননি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান।

আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আসালঙ্কাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মহেশ থিকশানা। সপ্তম উইকেটে বড় জুটির পথেই এগোচ্ছিল তারা। তবে থিকশানাকে ২২ রানে থামালেন শরিফুল। আসালাঙ্কার সঙ্গে তার জুটিতে উঠেছে ৪৮ বলে ৪৫ রান।

এক প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মধ্যেও আরেক প্রান্তে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন আসালঙ্কা। তার প্রতিদানও পেয়েছেন। ১০১ বলে পৌঁছেছেন তিন অঙ্কে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০৫ বলে ১০৮ রান। তিনি ফেরার পর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি লঙ্কানরা। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়েছে তারা।

 

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ