প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৩, ১২:২১ এএম
বিশ্বকাপে দলেই থাকার কথা ছিল না। নির্বাচকরা তাকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপ দল চূড়ান্ত করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দলে ঢুকেছেন এবং দলকে বারবার লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে চলেছেন মাহমুদউল্লাহ। আজও তার ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ রান। দলের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান তিনি। করেছেন ৫৬। তার এই রানকে সঙ্গী করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৪ রান করেছে বাংলাদেশ। ৪৫.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে এই রান বাংলাদেশের।
বিশ্বকাপের নিজেদের সপ্তম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। শাহিন শাহ আফ্রিদির জোড়া আঘাতে শুরুতে দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। ওপেনার তানজীদ হাসান রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। পাঁচ বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। শাহিন আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হন এ ওপেনার।
শাহিন আফ্রিদি পরের ওভারে আবার আঘাত হানেন। ওসামা মীরের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন নাজমুল হাসান শান্তকে। মাত্র ৪ রান সংগ্রহ তার। আগের ওভারে ইফতিখারকে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন তিনি।
তৃতীয় জুটিতে উইকেটে আসা মুশফিকুর রহিমও দাঁড়াতে পারেননি। ফলে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অবশেষে ব্যাটিং পজেশন পরিবর্তন করে মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে আসেন। তার দৃঢ়তায় বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয় এড়ায়। লিটন দাসের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে তারা বাংলাদেশকে ৭৯ রান এনে দেন। ৪৫ রানে আউট হন লিটন।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বেধে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ৭০ বলে ৫৬ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হন তিনি। ছয় বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহ এ ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
এদিকে অবশেষে রানের দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৪৩ রান করেছেন। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অধিনায়কের এটাই সর্বোচ্চ রান। শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিং (৩০ বলে ২৫ রান) বাংলাদেশের সংগ্রহকে দুইশ রান পার করতে সহায়তা করে।
পাকিস্তানের সফল বোলার ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। আফ্রিদি শুরুতে আঘাত করেছেন আর ওয়াসিম লেজ গুটিয়ে দিয়েছেন। উভয়েই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া হারিস রউফের শিকার ছিল দুই উইকেট।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন