প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৩:৫৪ এএম
বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধারে মিশনে নামা ভারত টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা ভারত আজ হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে আফগাস্তিানের করা ২৭২ রানের জবাবে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ ওভারে প্রয়োজনীয় ২৭৩ রান করে। জয় পায় ৮ উইকেটে। দুই ম্যাচে ভারতের এটা টানা দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে সমসংখ্যক ম্যাচে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় হার।
প্রথম ম্যাচে ভারতীয় ওপেনাররা ব্যর্থ ছিল। কিন্তু এ ম্যাচে দলটির ওপেনার স্বমহিমায় হাজির হয়েছে। রানের ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে। রোহতি শর্মা ও ঈষান কিশান প্রথম জুটিতেই ১৫৬ রান তুলে নেন। ফলে ভারতের সহজ জয়ের রাস্তাটা তৈরি হয়ে যায়। কিশান অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি। ৪৭ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। পরবর্তী রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বাধেন বিরাট কোহলি। এ জুটিতে ৪৯ রান আসে।
রোহিত শর্মা দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ছুঁয়েছেন তিন অঙ্কের সেই যাদুকরী রান। করেছেন ব্যাটারের সেই কাঙ্খিত সেঞ্চুরি। ১৩১ রানে শেষ হয় তার ইনিংসটি। ক্যারিয়ারের ৩১তম সেঞ্চুরি এটি তার। এ সেঞ্চুরিতে রোহিত শর্মা পেছনে ফেলে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে। গত জানুয়ারি থেকে রিকি পন্টিং তার সঙ্গী হয়ে ছিলেন। ভিন্নভাবে বললে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো রিকি পন্টিং অনেক আগেই ত্রিশতম সেঞ্চুরি করেছেন। গত জানুয়ারিতে রোহিত শর্মা তার পাশে বসেছিলেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ সেঞ্চুরির ফলে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক সেঞ্চুরির তালিকায় রোহিত শর্মা তিনে উঠে এসেছেন। তার ওপরে রয়েছেন বিরাট কোহলি। তিন অঙ্কের এই যাদুকরী রান কোহলি ৪৭ বার দেখা পেয়েছেন। আর সবার উপরে শচীন টেন্ডুলকার। তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৪৯।
রোহিত শর্মা মাত্র ৮৪ বলে তার ইনিংসটি খেলেন। ১৬টি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। বিরাট কোহলি ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ের। তার রান ২৫।
এর আগে আজ আফগানিস্তান টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ভারতকে এ ম্যাচেও আগে বোলিং করতে হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যতটা সহজ ছিল এ ম্যাচে বোলারদের কাজ ততটা সহজ হয়নি। হাশমাতুল্লাহ শহীদি ও আজমাতুল্লাহ ওমারজাই যথেষ্ঠ ভুগিয়েছেন ভারতীয় বোলারদের। চতুর্থ উইকেটে তারা ১২১ রানের পার্টনারশি গড়েন। শহীদি ৮০ রানে আউট হন। ৮৮ বলে এই রান সংগ্রহ ছিল তার। আট বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
অন্যদিকে ওমরজাই তার ৬০ রানের ইনিংসটি খেলতে ৬৯ বলের মোকাবোলা করেছেন। মাত্র দুটো বাউন্ডারি মারলেও তার ইনিংসি ছিল চারটি ওভার বাউন্ডারি। আফগানিস্তানের এই জুটিটা ছাড়া অন্যরা তেমন একটা বড় জুটি গড়তে পারেনি। তারপরও রহমাতুল্লাহ গুরবাজের ২১, ইব্রাহিম জাদরানের ২২ রানসহ আফগানিস্তান ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দিতে সমর্থ হয়।
জাসপ্রিত বুমরাহ ছিলেন সফল বোলার। ৩৯ রানে ৪ উইকেট শিকার তার। এছাড়া হৃদিক পান্ডে দুই উইকেট পেয়েছেন। শার্দুল ঠাকুর ও কুলদ্বীপ যাদব একটি করে উইকেট নেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন