প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৬:২১ পিএম
এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর থেকেই এই ইভেন্টে বাংলাদেশের জন্য পদক এক রকম নিশ্চিত বলাই যায়। বিশেষ করে নারী ক্রিকেট এশিয়াডে কখনই হতাশ করেনি। চলতি এশিয়াডেও প্রথম পদক এসেছে নারী ক্রিকেট থেকেই। পাকিস্তানকে উড়িয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সাফল্য ধরে রাখলেও কিছুটা হতাশা তো আছেই। আগের দুই আসরে যে এই ইভেন্ট থেকে রূপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
এশিয়াডে ক্রিকেট ফিরেছে দুই আসর পর। ২০১০ সালে এই গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত করা হয়। টানা দুই আসরে রৌপ্য জিতেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তাই এবার গেমসে ক্রিকেট ফেরার পর স্বর্ণ পদকের স্বপ্ন নিয়েও দেশ ছেড়েছিলেন নিগার সুলতানারা।
কিন্তু ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ায় স্বর্ণ তো দূরের কথা, রৌপ্যই জুটেনি টাইগ্রেসদের কপালে। পাকিস্তানের সঙ্গে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটা তাই ছিল পদক জয়ের শেষ সুযোগ। শেষ পর্যন্ত পদক জিতে অবশ্য খুশি বাংলার মেয়েরা। ম্যাচ শেষে ভেন্যুতে দেখা গেছে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ।
পাকিস্তানকে হারিয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, `‘প্রতিটি দল টুর্নামেন্ট খেলতে আসে সর্বোচ্চ অর্জনের জন্য। আমাদেরও তাই লক্ষ্য ছিল। কিছু না পাওয়ার চেয়ে, কিছু নিয়ে যাওয়া অবশ্যই ভালো।`
আগের দুই আসরে রৌপ্য পদক জিতলেও এবার এসেহে ব্রোঞ্জ। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য কি পূরণ করতে পেরেছে বাংলার মেয়েরা? - জ্যোতি বলেন, `দুবার রুপার পর স্বর্ণ পদক প্রত্যাশাটাই স্বাভাবিক। আমাদের ব্যাক অফ দ্য মাইন্ড কাজ করছে অন্তত খালি হতে ফিরে যাচ্ছি না।`
আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা থাকলেও এদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নেন জ্যোতি। বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। ফিল্ডিং নেওয়াটাকেই পাকিস্তান ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, `আমরা স্পিন নির্ভর। বোলাররা ভালো করেছে।’
গতকাল ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ব্যাটিং নিয়ে আফসোসের বিষয়টি অবশ্য আড়াল করে রাখলেন, সেইসঙ্গে এ ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসার ক্রেডিট দলকেই দিলেন নিগার, ` ‘আফসোস না, যেটা চলে গেছে গেছে এটা ভাবলে আরো মনোবল হারাতে হয়।টোটাল ক্রেডিট দলের। যেভাবে কামব্যাক করেছে সত্যিই অসাধারণ।`
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/