• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এশিয়া কাপে হেরে বাবর-শাহিনের বাকবিতণ্ডা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৮:১৬ পিএম

এশিয়া কাপে হেরে বাবর-শাহিনের বাকবিতণ্ডা

ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপ শুরুর আগে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল পাকিস্তান। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আরও একটা ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের রোমাঞ্চে বুঁদ হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সুপার ফোর থেকেই বিদায় নিয়েছে বাবর আজমের দল। বিদায়ের পর এবার পাকিস্তানের ড্রেসিং রুমেও ঝামেলার আভাস।

এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে বাস্তবতার জমিনে টেনে নামিয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হারের লজ্জা পাওয়ার পরও ফাইনালের আশা টিকে ছিল। কিন্তু খর্ব শক্তির শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও পেরে ওঠেনি বাবর আজমের দল।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে ফাইনালের আশা শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের। এরপরই ড্রেসিং রুমে দেখা দিয়েছে দ্বন্দ্ব। ড্রেসিং রুমে নাকি কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও পেসার শাহিন আফ্রিদি। আর এই লড়াইয়ের মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসেন উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এমন খবরই চাউর হয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যমে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লঙ্কানদের বিপক্ষে হারের পর দলীয় বৈঠকে ক্রুদ্ধ বাবর নাকি বলেন, দলের খেলোয়াড়রা দায়িত্ব নিয়ে খেলেননি। এমন উক্তি পছন্দ হয়নি শাহিনের। বাবরের কথা ধরে বসেন তিনি। অধিনায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‍‍`অন্তত যারা ভালো ব্যাটিং-বোলিং করেছে তাদের কৃতিত্ব দাও।‍‍`

এর জবাবে বাবর বলেন, ‍‍`আমি জানি, কারা ভালো ব্যাটিং-বোলিং করেছে।‍‍` বাবর-শাহিনের বাকবিতণ্ডা আরও বাজে রূপ নেওয়ার আগেই তাদের থামান রিজওয়ান।

তবে তাদের এই বাকবিতণ্ডার পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করেছেন দলের এক সিনিয়র খেলোয়াড়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে বলেন, ‍‍`টিম মিটিংয়ে সবাই তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করে। টিম মিটিংয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে, এমন খবরের কোনো ভিত্তিই নেই।‍‍`

পাকিস্তানের ড্রেসিং রুমের অভ্যন্তরীণ বিষয় এভাবে গণমাধ্যমে আসায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক মঈন খান। বিশ্বকাপের আগেই এসব ছোটখাট ভুলত্রুটি শুধরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই কিংবদন্তি উইকেটকিপার-ব্যাটার।

তিনি বলেন, ‍‍`এটা অন্তত ভালো যে এই ধরনের খবর বড় টুর্নামেন্টের আগে সামনে এসেছে। এর ফলে আপনার শোধরানোর সুযোগ আছে। তবে ড্রেসিংরুমে লড়াই, বাগ্‌বিতণ্ডার খবর মিডিয়ায় আসা মোটেই ভালো বার্তা দেয় না। কারও যদি বাবরের সঙ্গে কোনো ইস্যু থাকে কিংবা প্রধান কোচ ও ক্রিকেট পরিচালকের অবর্তমানে বাবর ঠিকভাবে কোনো বিষয় সামলাতে না পারে, তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। আর (বোর্ডের) ক্রিকেট পরিচালক দলের সঙ্গে থাকেন না। এই ধরনের বিষয় তাদেরই সামলানো উচিত।‍‍`

তবে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পেছনে বড় একটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন মঈন। পুরো টুর্নামেন্টে দলের মধ্যে ঐক্য খুঁজে পাননি সাবেক এই অধিনায়ক। ‍‍`৯২‍‍` এর বিশ্বকাপজয়ী তারকা বলেন, ‍‍`এটা (ঐক্য না থাকা নিয়ে) আমি আগেও বলেছি। কেউই ম্যাচ চলাকালীন বাবরের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। রিজওয়ান আসেনি, এমনকি সহ-অধিনায়ক শাদাবও আসেনি। কেউই তার দিকে যায়নি। মনে হচ্ছিল সবাই বিক্ষিপ্ত, এই দলে কোনো একতাই নেই।‍‍`

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ