প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ০৫:১৩ এএম
শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হাসান শান্ত ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৩ বলে ১ রান করা দিমুথ করুনারত্নেকে সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
এরপর ক্রিজে আসেন কুশল মেন্ডিস। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে আবারও সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৫ রানে ১৩ বলে ১৪ রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকে আউট করেন শরিফুল।
নিশাঙ্কার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাদিরা সামাবিক্রমা। মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সামাবিক্রমা। তবে দলীয় ৪৩ রানে মেন্ডিসের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ২১ বলে ৫ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হন মেন্ডিস।
এরপর ক্রিজে আসেন চারিথ আসালাঙ্কা। সামাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন আসালাঙ্কা। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে ফিফটি তুলে নেন সামাবিক্রমা। অন্যদিকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আসালাঙ্কা।
দলীয় ১২১ রানে সামাবিক্রমাকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান। ৭৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন সামাবিক্রমা। এরপর লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। দলীয় ১২৮ রানে ক্রিজে আসা ধানাঞ্জায়া ডি সিলভাকে আউট করেন সাকিব।
এরপর ক্রিজে আসেন দাসুন শানাকা। আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন শানাকা। এরই মাঝে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন আসালাঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই দুই ব্যাটার। আসালাঙ্কা ৯২ বলে ৬২ ও শানাকা ২১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।