প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
বিশ্বকাপ জেতার পর অনেক কিছুই হতে পারতো শিরোনাম। কিন্তু স্পেনের বিশ্বকাপ জেতার সঙ্গে চুমুর সখ্যতাই যেন বেশি। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর সাংবাদিক সারা কারবোনেরোকে প্রকাশ্যে চুমু দিয়েছিলেন দলের অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস। পরে জানা গিয়েছিল, তারা দুজনেই সম্পর্কে জড়িত। পরবর্তীতে সারাকে বিয়েও করেছিলেন ক্যাসিয়াস।
এবার নারী বিশ্বকাপেও দেখা গেল সেই চুমু কাণ্ড। তবে এবার বিতর্কে জড়িয়েছেন স্বয়ং স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। দলের খেলোয়াড় হেনিফার হারমোসোকে পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে চুমু দেন তিনি। এ নিয়ে শুরুতে আত্মপক্ষ সমর্থন করলেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছেন রুবিয়ালেস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিজেই জানিয়েছেন, দায়িত্বশীল পদে থেকে এ রকম আচরণ করা ঠিক হয়নি তার, ‘আমাকে স্বীকার করতেই হবে, আমি সম্পূর্ণ ভুল ছিলাম। আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে, এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাকে বুঝতে হবে, যখন সভাপতি সভাপতির মতো দায়িত্বে থাকবেন, আপনাকে আরও সতর্ক হতে হবে।’
যদিও শুরুতে নিজের অপরাধ স্বীকার করতেই রাজি ছিলেন না রুবিয়ালেস। স্প্যানিশ রেডিও মার্কায় নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছিলেন, ‘হেনির সঙ্গে চুমু? মূর্খ লোকের তো অভাব নেই। দুজন মানুষের স্নেহপূর্ণ মুহূর্ত নিয়ে এসব মূর্খের কথা শোনার সময় নেই। আমরা চ্যাম্পিয়ন, আমি এটা নিয়েই আছি।’
অবশ্য শুধু চুমু-ই না, বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে বেশ কয়েকবারই মাত্রা ছাড়িয়েছেন স্প্যানিশ ফুটবল কর্তা। স্পেনের মেয়েদের উদ্যাপনের সময় বারবার ছবিতে পোজ দিতে ঢুকে যাওয়া, মেয়েদের হাত থেকে ট্রফি নিয়ে স্পেনের রানিকে দেওয়া, শেষে লকার রুমে ঢুকে হাসিঠাট্টা করা- সবমিলিয়ে বিতর্কিত সময়ই পার করেছিলেন লুইস রুবিয়ালেস।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/