প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ০৩:২৮ এএম
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ছে। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, তিন ফরম্যাটেই বর্ধিত ম্যাচ ফি প্রস্তাব করা হয়েছে। শিগগিররই যা তোলা হবে বোর্ড সভায়। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৬৬ শতাংশ ম্যাচ ফি বাড়ছে। এছাড়া, টি-টোয়েন্টিতে ৫০ ও টেস্টের ম্যাচ ফি বাড়ছে প্রায় ৩৪ শতাংশ।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। পূর্ণ সদস্য না হলেও টি-টোয়েন্টি লিগ পরিচালনা করছে বিশ্বের বেশকিছু ক্রিকেট বোর্ড। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোরও একাধিক লিগে দল আছে। যার কারণে পুরো বছরের জন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি করতে লোভনীয় অঙ্কের প্রস্তাবও দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কিছু ক্রিকেটারকে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে দেয়া হয় এমন প্রস্তাব।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সংকুচিত করে ক্রিকেটাররাও ঝুকছেন অর্থের দিকে। অনেক ক্রিকেট বোর্ডই অসহায় হয়ে পড়ছে অর্থের কাছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এর জ্বলন্ত উদাহরণ।
এমন পরিস্থিতির মুখে না পড়তে অনেক ক্রিকেট বোর্ডই বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফি। বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। প্রতি টেস্টের জন্য ক্রিকেটারদের ১৫ লাখ রুপি ম্যাচ ফি দিয়ে থাকে তারা। স্মিথ-লাবুশেনরা টেস্ট প্রতি ১৪ লাখ ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা একটি টেস্ট খেলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ লাখ টাকা পেয়ে থাকে।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে দিন দিন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক ক্রিকেটার। অনেকের মতে, এই ফরম্যাটের আবেদন নেই আগের মতো। রিকি পন্টিংয়ের মতো কিংবদন্তীও বলেছেন টেস্টের ম্যাচ ফি বাড়াতে। শীর্ষ দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তুলনামূলক কম ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন। বর্তমান বোর্ড দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত চার দফায় বাড়িয়েছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি।
২০১২ সালে একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য দেওয়া হতো দেড় লাখ টাকা। ২০১৩ সালে সেটাকে করা হয় দুই লাখ টাকা। পরের বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচ ফিও বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে টেস্ট ম্যাচের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করে বিসিবি। বাড়ানো হয় সীমিত ওভার ফরম্যাটের অর্থও। সবশেষ ২০২০ সালে দ্বিগুণ করা হয় টেস্টের ম্যাচ ফি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি করা হয় যথাক্রমে ছয়, তিন এবং দুই লাখ টাকা।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/