• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২১, ০৯:৫২ এএম

সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

ক্রীড়া ডেস্ক

কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় ইকুয়েডর-আর্জেন্টিনা। রোববার (৪ জুলাই) সকালে পেদ্রো লুডোভিকো অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দুটি গোল করানোর পাশাপাশি ফ্রি কিকে একটি গোল দিয়েছেন লিওনেল মেসি।

তাতে আর্জেন্টিনা ইকুয়েডরকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়া এই ম্যাচের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। প্রথমার্ধে একগাদা গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে তারা। 

সবচেয়ে সহজটা নষ্ট করেছেন মেসি। ২২ মিনিটে ইকুয়েডরের একটা ব্যাকপাস পেয়ে গিয়েছিলেন ফাঁকাতেই। সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক। তাকে পরাস্তও করেছিলেন। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়কের শট গিয়ে প্রতিহত হয় গোলপোস্টে। 

২৩তম মিনিটে ইকুয়েডরের ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পায় মেসি। গোলরক্ষক হার্নান গালিন্দেজকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টিনা। পোস্টে লেগে ফেরত আসে বল।

‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ হয়ে শেষ আটে আসা ইকুয়েডরকে চেপে ধরে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের শেষ ভাগে এসে কপাল খুলে যায় মেসিদের। তার সহায়তায় ইকুয়েডের জালে প্রথমবারের মতো বল জড়ান রদ্রিগো ডি পল। আর দ্বিতীয়ার্ধের শেষে ব্যবধান দিগুণ করেন লৌতারো মার্টিনেজ। আর যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত ফ্রি-কিক করে গোলের দেখা পান মেসি নিজেই। 

এদিকে স্কোর লাইন যেমনটি বলছে ম্যাচ ততটা সহজ ছিল না মেসিদের। মার্টিনেজের গোলের আগ পর্যন্ত ম্যাচে ভালোভাবেই ছিল ইকুয়েডর। সমতা আনার বেশ কিছু সুযোগও পেয়েছিল দলটি। সেগুলো কাজে লাগাতে না পারার খেসারত দিতে হয় পরে। যোগ করা সময়ে একজন লাল কার্ড দেখলে শেষ কিছুটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলে তারা। 

এর আগে টানা দুই মৌসুমে ফাইনাল নিশ্চিত করেও শিরোপাবঞ্চিত হতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দুইবারই চ্যাম্পিয়ন হয় চিলি। ২০১৯ সালের আসরে সেমিফাইনালে উঠেছিল লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের কাছে থামতে হয় তাদের। 

টিআর/এএমকে

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ