প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩, ০৩:২৬ এএম
কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনেই শক্ত অবস্থানে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রানে গুটিয়ে বাবর আজমরা। ২ উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে বাবর আজমের দল। এখন তারা পিছিয়ে ২১ রানে। হাতে ৮ উইকেট।
লঙ্কান ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। ৬ রান করে আসিথা ফার্নান্ডোর শিকার হন ইমাম উল হক। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৮ রানের জুটিতে সে ধাক্কা সামলে নেন আবদুল্লাহ শফিক আর শান মাসুদ। মারকুটে ব্যাটিং করে শান মাসুদ তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তবে এরপর আসিথার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৪৭ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান মাসুদ।
হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন শফিকও। ৯৯ বল খেলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত আছেন এই ওপেনার। সঙ্গে বাবর আজম ব্যাট করছেন ৮ রানে।
এর আগে নাসিম শাহ-আবরার আহমেদের তোপে ৪৮.৪ ওভারে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। অথচ টস জিতে ঘরের মাঠে নিজেরাই ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল তারা। দলীয় ৯ রানের মাথায় নিশান মধুশঙ্কা (৪) শান মাসুদের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউট হলে বিপর্যয় শুরু হয় লঙ্কানদের। ২৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। এবার কুশল মেন্ডিস উইকেট বিলিয়ে আসেন। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে লঙ্কান এই ব্যাটার (৬) ক্যাচ তুলে দেন পয়েন্টে।
অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও দলকে ভরসা দিতে পারেননি। ৯ রান করে নাসিম শাহর বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। নিজের পরের ওভারে নাসিম দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন দিমুথ করুণারত্নেকে (১৭)। ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে লঙ্কানরা। পঞ্চম উইকেটে প্রাথমিক সেই বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেন দিনেশ চান্দিমাল আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ১১৯ বল খেলে ৮৫ রান যোগ করেন তারা। মনে হচ্ছিল, ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা।
কিন্তু এরপর আবারও সেই নাসিমের আঘাত। এবার পাকিস্তানি পেসারের শর্ট বলে টপএজ হয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন চান্দিমাল (৩৪)। পরের অংশটা শুধুই আবরার আহমেদের। লেগস্পিন বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ধসিয়ে দেন আবরার। তার টানা তিন ওভারে তিন উইকেট হারায় লঙ্কানরা। চান্দিমাল আউট হওয়ার পরের ওভারে আবরার শর্ট লেগে ক্যাচ বানান সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০)। হাফসেঞ্চুরি করে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও হন আবরারের শিকার। সৌদ শাকিল ডাইভিং ক্যাচে ফেরান তাকে। ৬৮ বলে ৯ চার আর ১ ছক্কায় ধনঞ্জয়া করেন ৫৭। আবরারের পরের ওভারে রানআউট হন প্রভাত জয়সুরিয়া (১)।
লঙ্কানদের শেষ দুই উইকেটও তুলে নেন আবরার। রমেশ মেন্ডিস লড়ার চেষ্টা করে শেষ ব্যাটার হিসেবে হন পাকিস্তানি লেগস্পিনারের গুগলির শিকার, করেন ৪৪ বলে ২৭। আবরার ৬৯ রানে নেন ৪টি উইকেট। ৪১ রানে ৩ উইকেট শিকার নাসিমের। এক উইকেট পান শাহিন শাহ আফ্রিদি।