• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ওরা ভেবেছে আমি ফুটবল খেলতে পারি না : মাশরাফি

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম

ওরা ভেবেছে আমি ফুটবল খেলতে পারি না : মাশরাফি

ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক

নড়াইলের মাঠ-ঘাট হাতের তালুর মতো চেনা কৌশিকের। নিজ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এমন কোনো মাঠ নেই যেখানে কৌশিক গতির ঝড় তোলেননি। নড়াইলের কৌশিক থেকে জীবন্ত কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা হয়ে ওঠার গল্প অনেকেরই জানা। ক্রিকেট বোদ্ধারা মাশরাফির ক্রিকেট বলের গতি এমনকি ব্যাটিং শৈলি সম্পর্কেও ধারণা রাখেন। কিন্তু ফুটবলার মাশরাফি সম্পর্কে ক’জনই বা জানেন!

শনিবার (১৫ জুলাই) বিকালে লোহাগড়া উপজেলার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাশরাফির ফুটবল খেলার এমন এক দৃশ্যের দেখা মেলে। নিজের নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখার এক ফাঁকে তিনি নেমে পড়েন ফুটবল মাঠে।

dhakapost

সিনিয়র-জুনিয়র দুই দলে ভাগ হয়ে খেলছিলেন স্থানীয় ফুটবলাররা। যেখানে বাকিরা বুট পরে খেললে, মাশরাফি নেমে পড়েন খালি পায়ে। একপর্যায়ে দলীয় খেলোয়াড়রা বল পাস দেন মাশরাফির কাছে, তখন তিনি সবার উদ্দেশ্য বলে বসেন, ‘সিরিয়াস না খেললে ওঠে যাবো।’ একটি ‍পরে মৃদু হেসে আরও বলেন, ‘ওরা ভাবছে আমি ফুটবল খেলতে পারিনা। আমি যে ফুটবল ভাল খেলি তা তারা বুঝতে পারিনি।’

তার প্রমাণ অবশ্য মাশরাফি নিজেই দিয়েছেন। তার খালি পায়েও দেখা গেল লং শট, ব্যাক ফ্লিকসহ নানা কারিকুরি। এর মাঝেই দেখা যায় ৫৫ বছর বয়সী দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনও মুর্তজার অনুকরণে মাঠে নেমে পড়েন। তখনই দর্শকরা শোরগোল দিয়ে ওঠেন। সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবিতে তিনি নামেন মাশরাফিদের বিপক্ষ দলে।

dhakapost

খেলার একপর্যায়ে মাশরাফি ইচ্ছাকৃতভাবে চেয়ারম্যান বোরহানকে ল্যাং মেরে কাঁদায় ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় তার সাদা পাঞ্জাবির রঙ। তা দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত দর্শকরা। ম্যাচটি শেষপর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হয়, যদিও মজাচ্ছলে চেয়ারম্যানকে বিজয়ী ঘোষণা করেন মাশরাফি।

এদিন সকাল থেকেই নিজ এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। কিছু বিষয়ে তিনি মানুষের তাৎক্ষণিক সমাধান দেন এবং বাকি বিষয়ে সময় লাগবে বলে জানান।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ