• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

স্পেনকে হারিয়ে ইউরোর শিরোপা ইংল্যান্ডের

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৩, ০৫:৩২ পিএম

স্পেনকে হারিয়ে ইউরোর শিরোপা ইংল্যান্ডের

ক্রীড়া ডেস্ক

বছরখানেক আগেই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টাইব্রেকারে হারের মুখ দেখেছিলো ইংল্যান্ড। নিজ দেশের মাটিতেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিলো থ্রি লায়ন্সদের। গেল বছরই ইংলিশ নারী দল অবশ্য পেয়েছিলো ইউরো জয়ের স্বাদ। এবার সেই পথেই হাঁটলো ইংলিশ তরুণরা। জমজমাট ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে যুব ইউরোর শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। 

জর্জিয়ার বাতুমি অ্যারিনায় কার্টিস জোন্সের একমাত্র গোলের সুবাদে স্পেনকে তারা হারিয়েছে ১-০ গোলে। সেমিফাইনালের মতো এদিনও ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন লিভারপুলের এই মিডফিল্ডার। অনূর্ধ্ব-২১ পর্যায়ে এটি ইংল্যান্ডের তৃতীয় ইউরো শিরোপা। এর আগে ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোর শিরোপা ঘরে তুলেছিল তারা।

ইংলিশদের শিরোপা জয়ের মূল নায়ক অবশ্য গোলরক্ষক জেমস ট্রাফোর্ড। ম্যানচেস্টার একাডেমির এই গোলকিপার ৯৯ মিনিটে পেনাল্টি না ঠেকালে অন্যরকম হতে পারতো ফলাফল। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহুর্তের সেই পেনাল্টি গোল হতে ম্যাচ গড়াতো অতিরিক্ত সময়ে। তবে অ্যাবেল রুইজের মিসে সেখানেই শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয় স্প্যানিশ যুবাদের। 

ম্যাচে শুরু থেকেই ছিলো আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। তবে পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা স্পেন এদিনও ছিলো নিজেদের সেরা ছন্দে। ৬৫ শতাংশ বল দখল আর ২১ টি শট নিয়েও ফাইনালটা নিজেদের হাতেই রেখেছিলো তারা। ম্যাচের স্রোতের কিছুটা বিপরীতে থেকেই প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ইংলিশদের হয়ে গোল করেন কার্টিস জোন্স। 

গোল পরিশোধে মরিয়া স্পেন, দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত গোলটাও পেয়ে গিয়েছিলো স্পেন। তবে রুইজের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হলে হতাশ হতে হয় তাদের। 

পুরো টুর্নামেন্টের মতো এদিনও গোলবারের নিচে ইংলিশ গোলরক্ষক ট্রাফোর্ড ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। আগের ৫ ম্যাচেও কোন গোল হজম করেননি ম্যানসিটির এই খেলোয়াড়। ফাইনালেও রাখলেন ক্লিনশিট। শিরোপা জয়ের সঙ্গে এদিন নতুন এক রেকর্ডও তাই যুক্ত হয়েছে ইংল্যান্ডের নামের পাশে। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে পুরো  টুর্নামেন্টে কোন গোল হজম করেনি তারা। 

শিরোপা জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ইংলিশ কোচ লি কার্সল বলেন, ‘আমার ধারণা, এই জয় ছেলেদের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসবে। এই দলটি দেখিয়েছে, তারা জিততে পারে। আমরা কোনো ক্লাব দল নই, কিন্তু আমরা যদি আরও এক মাস একসঙ্গে কাজ করতে পারতাম, তাহলে আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলতে পারতাম।’

তবে, শিরোপা না পেলেও হতাশ নন স্পেন কোচ সান্তি দেনিয়া। নিজের শিষ্যদের অর্জনকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন তিনি। 

 

বিএস/

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ