প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৩, ০৪:৪৫ এএম
তামিম ইকবাল দেশ সেরা ওপেনার। তিনি এক কথার মানুষ হিসেবে পরিচিত। যখন অবসরের ঘোষণা দেন, তখন সবাই মনে করেছিলেন, তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফিরবেন না। হয়তো দেশের বাইরেও চলে যেতে পারেন। কিন্তু না শেষ পর্যন্ত সব অভিমান ঝেড়ে অবসর ভাঙতেই হলো তাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে বৈঠকের পর আবার জাতীয় দলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিম।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। দেশসেরা ওপেনারের এমন সিদ্ধান্তকে অপ্রত্যাশিত বলেও জানায় বিসিবি। বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সেদিন বলেছিলেন, তিনি তামিমকে অবসরের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তামিম অবসরের ঘোষণা দিয়েই ফেলেন। এরপর নাজমুল হাসান পাপন জানান, তারা তামিমকে অবসর ভাঙতে বলবেন।
অবসর নেয়া তামিমের ডাক পড়ে গণভবন থেকে। চট্টগ্রাম থেকে তামিমকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় ফেরেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এরপর পাপন, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তামিম মিলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে বাইরে এসে অবসর ভাঙার সিদ্ধান্তের কথা জানান তামিম। অবসর ভাঙলেও এখনই মাঠে ফিরছেন না তামিম। দেড় মাসের মতো বিশ্রামে থাকবেন ড্যাশিং এই ওপেনার। এরপর ফিরবেন এশিয়া কাপে, খেলবেন ওয়ানডে বিশ্বকাপেও।
গণভবন থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। উনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার রিটায়ারমেন্ট এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের যিনি সবচেয়ে বড় ব্যক্তি, তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাতে অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফী ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফী ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের জন্য একটা ছুটি নিতেও বলেছেন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ আন্তর্জাতিক খেলা। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এই মুহূর্তে অবসরের ঘোষণা দিলাম। এই সিদ্ধান্তটি আমি হুট করে নেইনি। আমি গত কয়েক দিন থেকে এটা ভাবছিলাম। আমি পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি মনে করি এটাই সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নেয়ার।