প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম
কাতার বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনা ফুটবল দল ও লিওনেল মেসি আছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ফুটবলভক্তদের চোখে মেসি মানেই মনভরানো স্বর্গীয় ফুটবল। তবে তার বাণিজ্যিক মূল্যও কম নয়। আর্জেন্টিনার অধিনায়কের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে অর্থ আয় করতে চান অনেকেই। শোনা যাচ্ছে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার কথাও!
প্রীতি ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এখন চীনে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে মেসির আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচ সামনে রেখেই মেসিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। এই প্রতারণার ফাঁদে পা না দিতে জনগণকে সতর্কও করেছে দেশটির পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) চীনে পা রাখে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল। বেইজিংয়ে পৌঁছার পরই তার খ্যাতি কাজে লাগিয়ে অসাধু চক্র টাকাপয়সা কামিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে। সেই চক্র বিজ্ঞাপন দিয়েছে, ৪২ হজার মার্কিন ডলার (চীনের মুদ্রায় তিন লাখ ইউয়ান) বিনিময়ে ভক্তরা মেসির সঙ্গে বসে পানাহার করতে পারবেন। যে বিজ্ঞাপন প্রচারের পর সাড়া পড়েছে দেশজুড়ে।
বিজ্ঞাপনের কথা জানার পরই অবশ্য ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির পুলিশ। জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলছে, এ ধরনের বিজ্ঞাপন পুরোপুরি প্রতারণা। মেসি-উন্মাদনাকে ব্যবহার করে অসাধু এক চক্রের টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ।
মেসিকে নিয়ে এই প্রতারণার ফাঁদ বিষয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে রসিকতার সুরে পোস্টও দিয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, `আপনি যদি তিন লাখ ইউয়ান প্রতারণার শিকার হয়ে হারান, তাহলে আমরাই আপনার সম্মানে পান করব।`
পানাহারের সুযোগ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন এই মুহূর্তে আলোচনায়। একটিতে বলা হয়েছে, টিকিটের দামের সঙ্গে বাড়তি পাঁচ হাজার ইউয়ান খরচ করলেই আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের `অভ্যন্তরীণ ভিআইপি টিকিট` পাওয়া যাবে। এতে ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামের একদম সামনের সারিতে বসে মেসিদের খেলা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে আরও ৮ হাজার ইউয়ান খরচ করলেই মেসির সই করা জার্সি ও তার সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া যাবে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এটিও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন।
আরেক বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কেউ যদি ৫০ মিলিয়ন ইউয়ান খরচ করেন, তাহলে মেসি সেই ব্যক্তির নিজস্ব কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপনে সশরীর হাজির হবেন। এই বিজ্ঞাপনটিও ভিত্তিহীন।
আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের টিকিট এখন চাহিদার তুঙ্গে। প্রথম ধাপের টিকিট ছাড়ার পর মাত্র ১০ মিনিটেই শেষ হয়ে গিয়েছিল টিকিট। পরের ধাপের টিকিটেরও তীব্র চাহিদা দেখা যাচ্ছে। এ ম্যাচের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ৫৮০ ইউয়ান। সর্বোচ্চ মূল্য ৪ হাজার ৮০০ ইউয়ান। হস্তান্তরযোগ্য না হওয়ার পরও অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করে চড়া দামে বিক্রির রাস্তা ধরেছেন।
বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ ম্যাচের টিকিট ১৮ হাজার ইউয়ানেও বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও টিকিট কেনা ও স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য ফটো আইডি বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ।
এডিএস/