প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩, ০১:৪৬ এএম
জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন আগেই। ঘরোয়া ক্রিকেটেও হয়ে পড়েছিলেন অনিয়মিত। এবার আইপিএলকেও বিদায় বলে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ব্যাটার আম্বাতি রাইডু। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে গুজরাটের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটিই তার আইপিএল ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
রোববার (২৮ মে) আইপিএলের ফাইনালে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হচ্ছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। সেই ম্যাচের ঠিক আগে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আসর থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন চেন্নাইয়ের ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটার আম্বাতি রাইডু। রোববার টুইটারে তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে টুইটারে তিনি লেখেন, `দুটি অসাধারণ দলের অংশ হওয়া; মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংসে, ২০৪ ম্যাচ, ১৪টি মৌসুম, ১১টি প্লে অফ, ৮টি ফাইনাল, ৫টি শিরোপা! আশা করি আজ রাতে ষষ্ঠটিও হবে। এটা দারুণ একটা সফর ছিল। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজ রাতের ফাইনালটি আইপিএলে আমার শেষ ম্যাচ হবে। আমি সত্যিই এই অসাধারণ টুর্নামেন্টটিতে খেলাটা দারুণ উপভোগ করেছি। সবাইকে ধন্যবাদ। পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই।`
২০১৮ সালে চেন্নাইয়ে যোগ দেয়ার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে দুইটি শিরোপা জিতেছেন রাইডু। এর আগে ২০১০ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি তার আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন।
রাইডু মুম্বাইয়ের হয়ে প্রথম শিরোপা জেতেন ২০১৩ সালে। এটি ফ্র্যাঞ্চাইজিটিরও প্রথম শিরোপা ছিল। সে আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে সবকটি ম্যাচই খেলেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৫ ও ২০১৭ সালে আরও দুবার মুম্বাইয়ের হয়ে শিরোপা জেতেন তিনি। এরপর যোগ দেন চেন্নাইয়ে।
ধোনির দলের হয়ে হার্ড হিটার হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে খ্যাতি অর্জন করেন। সিএসকের হয়ে প্রথম মৌসুমে ১৪৯.৭৫ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে চমকে দেন তিনি। সে আসরে চেন্নাইকে শিরোপা জেতাতে দারুণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। আসরে ১৬ ম্যাচে ৬০২ রান করেছিলেন রাইডু, যা আইপিএলে তার সেরা মৌসুম ছিল।
২০২১ সালেও চেন্নাইকে শিরোপা জেতাতে ভালো অবদান রাখেন তিনি। সেবার ১৫১.১৭ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছিলেন তিনি। চলতি আসরে ব্যাট হাতে খুব বেশি ভালো খেলতে পারেননি রাইডু। ১৫ ম্যাচে ১৩২.২৮ স্ট্রাইকরেটে মাত্র ১৩৯ রান করেছেন তিনি।
আইপিএলের ইতিহাসে ২০০ এর বেশি ম্যাচ খেলা অল্প কয়েকজনের একজন রাইডু। ৪২৩৯ রান নিয়ে তিনি বর্তমানে এই টুর্নামেন্টের দ্বাদশ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
জেকেএস/