
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেও কর্তাদের মূল্যায়ন পায়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী হ্যান্ডবল দল। অর্থ সংকটের কারণে তাদের কোনো সংবর্ধনা দিতে পারেননি বলে জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর। ক্রীড়া পরিষদও তাদের এই অর্জনের পর সামান্য অভিন্দনটুকু জানাতে আসেনি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
সদ্য সমাপ্ত আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফিতে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী হ্যান্ডবল দল। দেশের জন্য যা নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। অথচ তাদের এমন অর্জনে নেই কোনো হাক-ডাক, নেই বরণ করার প্রস্তুতি! ক্রিকেট কিংবা ফুটবলে কোনো একটা অর্জন আসলেই তাদের সংবর্ধনা অথবা অর্থ পুরস্কারের ব্যবস্থা করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। হ্যান্ডবলে কেনো এত অনীহা? সংবর্ধনা অথবা অর্থ পুরস্কার তো দূরে থাক, সামান্য অভিন্দনটুকুও জানাতে আসেননি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্তা।
আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, ‘তাদের কিছু দায়বদ্ধতা আছে। আমরা যখন চ্যাম্পিয়ন হলাম, ক্রীড়া ফেডারেশনের উচিত ছিল খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়া। কিন্তু তারা কেউ আসেনি। হয়তো টেলিভিশনে খবর দেখেছে।’
এবারের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের পাশাপাশি অংশ নেয় অনুর্ধ্ব-১৯ নারী হ্যান্ডবল দল। তবে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। আসরের বাকি দলগুলোর তুলনায় স্পষ্টত তাদের ফিটনেসে ঘাটতি ছিল। অর্থের অভাবে দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ না করতে পারাই যার পেছনের কারণ বলে জানায় হ্যান্ডবল ফেডারেশন।
বাংলাদেশে মোট ৩৬টি ফেডারেশন আছে। তবে অন্যান্য ফেডারেশনের তুলনায় হ্যান্ডবলে সবচেয়ে কম নজর থাকে ক্রীড়া পরিষদের। বরাদ্দও খুব কম পায়, তাই খেলোয়াড়দের উন্নয়নে চাইলেও কিছু করতে পারেন না বলে জানান সাধারণ সম্পাদক।
আগামী ১৫ জুলাই ভারতের দিল্লিতে জুনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী হ্যান্ডবল দল। সেই টুর্নামেন্টে ভালো প্রস্তুতি নিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চায় ফেডারেশন।
জেকেএস/