প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৩, ০৯:২৩ পিএম
দেশের নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অবদান অনস্বীকার্য। তার সরে দাঁড়ানো নারী ফুটবলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ আসলাম। বাফুফের উদাসীনতার কারণেই ছোটনের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।
ফুটবল মাঠে লড়াইয়ে নামেন এগারো যোদ্ধা, তবে ডাগআউটে রণকৌশল তৈরি করে দেন একজনই, তিনি কোচ। একটা দলের সাফল্যের পেছনে কোচের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বাংলার জয়ীতাদের সাফল্যগাঁথায় চোখ রাখলেই বোঝা যায়। যে মেয়েরা এক সময় ফুটবলে লাথি দিতেই পারতো না, তারাই এখন দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে রাজত্ব করছে।
বদলে যাওয়া নারী ফুটবলের রূপকার কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ১৪ বছরের বর্ণিল যাত্রায় নারী ফুটবলকে উপহার দিয়েছেন আটটি শিরোপা। দীর্ঘ যাত্রায় অবমূল্যায়ন ছাড়া বাফুফের কাছ থেকে পাননি তেমন কিছুই। তাই নিরবেই ইতি টেনেছেন কোচিংয়ের অধ্যায়ের।
গেল বছর ১৯ সেপ্টেম্বর সাফ জয়ের পর থেকে মাঠের বাইরে নারীরা। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো ম্যাচ আয়োজন করতে পারলেও বাফুফের শুধুই অর্থের হাহাকার। প্রথমবারের মতো নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ঝুলে আছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই। ক্যারিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তায় অকাল অবসরের পথে ফুটবলাররা। আসলাম বলেন, ‘এত কৌশলী ফুটবলার এরা, তারাই কিনা সেচ্ছায় অবসরে যাচ্ছে। ওদের ক্ষুধা থাকলে তো ভালো জিনিসটা আসবে না।’
এডিএস/