প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৩, ০৭:২৫ এএম
আইপিএলে আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গিলের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। এরপর বল হাতে মুম্বাই ব্যাটিং লাইনআপ ধসে দিয়েছেন মোহিত শর্মা। শিকার করেছেন ৫ উইকেট। তার অনবদ্য বোলিংয়ে ৬২ রানের জয় পেয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। তাতেই টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালের টিকিট কাটলো গুজরাট।
আহমেদাবাদে টস হেরে ব্যাটে নেমে শুভমন গিলের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৩৩ রানের সংগ্রহ পায় গুজরাট টাইটান্স। জবাবে ব্যাটে নেমে ১৮.২ ওভারে ১৭১ রানে থামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। আর কোয়ালিফায়ার থেকেই বিদায় নিল রোহিতের মুম্বাই। রোববার আহমেদাবাদে ফাইনালে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
গুজরাটের দেয়া লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে ১৭ রানেই দুই উইকেট হারায় মুম্বাই। তৃতীয় উইকেটের পতন হয় ৭২ রানে। ১৪ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রশিদ খানের শিকার তিলক ভার্মা। ১১.২ ওভারে দলীয় ১২৪ রানে ফেরেন ক্যামেরুন গ্রিন। ব্যাট হাতে ২০ বলে ৩০ করেন এই ব্যাটার। ১৪.৩ ওভারে দলীয় ১৫৫ রানে মোহিত শর্মার প্রথম শিকার হন সূর্যকুমার যাদব। ৩৮ বলে ৬১ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর মোহিতের বলের সামনে দাঁড়াতে পারেননি কোনো ব্যাটার। ফেরান আরও চার ব্যাটারকে। শেষ অবধি ১৮.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস।
২.২ ওভার বল করে ১০ খরচায় ৫ উইকেট নেন মোহিত শর্মা। রশিদ খান ও মোহাম্মদ শামি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া জশ লিটল নেন একটি উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় গুজরাট। প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৫৪ রান। ৬.২ ওভারে ১৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেন শুভমন গিল ও সাই সুদর্শন। ১৬.৫ ওভারে ১৯২ রানে ফেরেন গিল। ৬০ বলে ১২৯ রান করেন এই ওপেনার।
১৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২১৪ রানে ফেরেন সাই সুদর্শন। ব্যাট হাতে ৩১ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও রশিদ খান মিলে শেষ করেন ইনিংস। গুজরাটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৩৩ রান। হার্দিক অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২৮ রানে, রশিদ করেছেন ২ বলে ৫ রান।
মুম্বাইয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আকাশ মাধওয়াল ও পিয়ুষ চাওলা।