• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ফিফা বনাম আইসিসি, বছরে কার কত আয়

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩, ০৮:০১ পিএম

ফিফা বনাম আইসিসি, বছরে কার কত আয়

ক্রীড়া ডেস্ক

পৃথিবী নামক গ্রহের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে ফুটবলকেই বিবেচনা করা হয়। সংখ্যার বিচারে এর পরের স্থানটাই ক্রিকেটের। বিশ্বব্যাপী ফুটবলখেলুড়ে দেশগুলোর মূল অভিভাবক ফিফা। অন্যদিকে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তাদের অধীনেই বিভিন্ন দেশে ফুটবল ও ক্রিকেটের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। বিশ্বব্যাপী খেলা দুটির বাণিজ্যিকীকরণের ফলে হয়েছে অর্থের ছড়াছড়ি।

পৃথিবীতে জাতিসংঘ স্বীকৃত দেশের সংখ্যা ১৯৩টি হলেও ফিফার অধীনে সদস্যসংখ্যা ২১১। এই তথ্যেই বোঝা যায় বিশ্বব্যাপী ফুটবলের বিস্তৃতি কোন পর্যায়ের।

অন্যদিকে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সদস্য সংখ্যাও একেবারে কম নয়। বিশ্বব্যাপী আইসিসির সদস্য দেশের সংখ্যা এখন ১০৮টি। কাছাকাছি সময়ে দুটি সংস্থার জন্ম হলেও ফুটবলের তুলনায় সদস্য সংখ্যাতেই নয় শুধু, আয়ের ক্ষেত্রেও বেশ পিছিয়ে আইসিসি।

দুই বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফিফা যে আইসিসির চেয়ে ধনী—এ কথা সহজেই বোধগম্য। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ফুটবল চলে, খেলাধুলা অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি অর্থের ছড়াছড়ি এই খেলাকে কেন্দ্র করে। তুলনায় ক্রিকেটের দুনিয়া অনেকটাই সীমিত। দুটি সংস্থারই আয়ের উৎস একই ধরনের। যার বেশির ভাগই আসে সম্প্রচার স্বত্ব থেকে। এ ছাড়া বিপণন স্বত্ব, টিকিট বিক্রি, টুর্নামেন্ট আয়োজন, সনদ স্বত্ব—এসব থেকে আয় করে থাকে ফিফা ও আইসিসি।

দুটি সংস্থাই আয়-ব্যয়ের চূড়ান্ত হিসেব করে দীর্ঘমেয়াদে। অন্যান্য বছরের তুলনায় বিশ্বকাপের বছর আয় বেশি হয় বলে একসঙ্গে কয়েক বছরের হিসাব বিবেচনা করা হয়।

ফিফার আয়-ব্যয়ের হিসাব করা হয় চার বছরের চক্রের হিসাব করে। ফিফার সর্বশেষ চক্র শেষ হয়েছে ২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপ দিয়ে। এখন চলছে ২০২৩ থেকে ২০২৬ চক্র। আইসিসির ক্ষেত্রে চক্রটা আট বছরের। বর্তমানে যে চক্র চলছে তা শেষ হবে ২০২৩ এর  ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে। এরই মধ্যে পরবর্তী চক্রের ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পরবর্তী চার বছরের আয়ের প্রাক্বলন করা হয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফিফা কাউন্সিলে ২০২২ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। এই বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯-২২ চক্রে ফিফার আয় ৭৫৬ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে টেলিভিশন স্বত্ব বাবদ আয় ৩৪২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

ফিফার দেওয়া এই হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছরের আয় ১৮৯ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

গত ৩১ ডিসেম্বর আইসিসির ২০২২ সালের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করা হয়। সে প্রতিবেদন অনুযায়ী আইসিসির ২০২২ সালে ৪৩ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ৪১ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার আয় এসেছে ইভেন্টস থেকে। বর্তমানে একটি চক্র চলমান থাকায় আইসিসির গড় বার্ষিক আয়ের হিসাব এখনই পাওয়া যাচ্ছে না।


তবে সামনের চক্রে ফিফা ও আইসিসি উভয় সংস্থার আয়ই বাড়ছে। ২০২৩-২৬ মেয়াদে ফিফার প্রাক্কলন বলছে, বছরপ্রতি আয় ২৭৭ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

অন্যদিকে ২০২৪-২৭ চক্রে আইসিসির প্রাক্কলন বলছে, বছরপ্রতি আয় ছাড়িয়ে যাবে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার ।


এডিএস/

আর্কাইভ