• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

এশিয়া কাপ নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব, ফেব্রুয়ারিতে নিরসন

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম

এশিয়া কাপ নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব, ফেব্রুয়ারিতে নিরসন

ক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে একগুঁয়েমি করতে গিয়ে বন্ধু হারাচ্ছে পাকিস্তান। গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, ইতোমধ্যে ভারতের প্রস্তাব মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আসর আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। এশিয়া কাপের হাইব্রিড মডেলটিকে বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না এসএলসির কাছেও।

রেষারেষির কারণে এবারের এশিয়া কাপের আসর বাতিল হলে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়েও বিপাকে পড়তে পারে পাকিস্তান। এদিকে দুই প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার কারণে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি চূড়ান্ত করতে পারছে না আইসিসি। 

তবে বিশ্বকাপের আগে হিসাব মেলাতে হবে এশিয়া কাপের। এশিয়া কাপ নিয়ে নিত্যদিন ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যম থেকে যে খবর আসছে, তাতে ক্রিকেটের জন্য কোনো শুভ বার্তা নেই। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে কারণে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে এশিয়া কাপ।

ভেন্যুর জটিলতাটা বেশ পুরোনো। রাজনৈতিক মতো পার্থক্যের কারণে এক দেশ অন্য দেশমুখী হয় না অনেক বছর। তাই এশিয়া কাপের স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তানের নাম আসার পর থেকেই আসরটি না হওয়ার গুঞ্জন ছিল বাতাসে। এবার যেন সে পথেই হাঁটছে জয় শাহর নেতৃত্বাধীন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। 

পাকিস্তানে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের সোজাসাপ্টা না বলে দিয়েছে। আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে হাইব্রিড এক প্রস্তাব দিয়েছিল পিসিবি। যেখানে সবাই পাকিস্তানে খেললেও ভারতের জন্য রাখা হয়েছিল নিরপেক্ষ ভেন্যুর ব্যবস্থা। কিন্তু সেটিতেও রাজি নয় বিসিসিআই।

ফলে ভালেই বিপদে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে তারাও একগুঁয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে। কোনো অবস্থাতেই ভারতের দাবি মেনে পুরো আসর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে স্থানান্তর করতে রাজি নয় নাজাম শেঠির বোর্ড। প্রয়োজনে আসর বাতিল হয়ে যাবে, কিন্তু নিজেদের রেষারেষি থামানোর লক্ষণ নেই। 

 
এ অবস্থায় অনানুষ্ঠানিকভাবেই নতুন এক টুর্নামেন্টের মডেল নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে বিসিসিআই। পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে এশিয়া কাপের স্লটে ৫ দেশ নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা করতে চায় তারা। ইতোমধ্যে সেখানে সম্মতিও দিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এশিয়া কাপ না হলে এ টুর্নামেন্টে খেলতে আপত্তি নেই এসএলসির।

কোনো কারণে যদি এখন এশিয়া কাপ বাতিল হয়ে যায় এবং নতুন টুর্নামেন্টের মডেল বাস্তবায়নে সফল হয় বিসিসিআই, সেক্ষেত্রে বিপদ আরও বাড়বে পাকিস্তানের। দেশটির গণমাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে, এর প্রভাব পড়বে আসন্ন বিশ্বকাপ এবং এফটিপির ওপরও। 
 
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনে তখন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের সঙ্গে দর কষাকষিতে পিসিবি পিছিয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের। এখন দেখার বিষয় নিজেদের ক্রিকেট অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কী সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

 

এডিএস/

ক্রীড়া জগৎ সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ