প্রকাশিত: মে ২, ২০২১, ০৪:২৬ পিএম
মস্তিষ্কে
অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে
বাসায় ফিরেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। দুই সপ্তাহ পর
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান
আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি। মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর
জানা যায় সে খবর।
কিন্তু কেন? এ প্রশ্নের
উত্তর খুঁজতে তদন্তের আহ্বান জানান ম্যারাডোনার আইনজীবী ও বন্ধু মাতিয়াস
মোরলার।
তার
দাবি, ম্যারাডোনার মৃত্যুর পেছনে লা প্লাতা আইপেনসা
ক্লিনিকের খামখেয়ালি দায়ী। ওই ক্লিনিকে ভর্তি
ছিলেন ম্যারাডোনা।
পাঁচ
মাস পর ম্যারাডোনার মৃত্যু
নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল বুয়েনস। ম্যারাডোনার
দুই কন্যা বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন
চিকিৎসক লুকে-কে। ওই
মেডিকেল প্যানেলও মনে করছে, পর্যাপ্ত
চিকিৎসা পেলে এই মৃত্যু
হয়তো এড়ানো যেত।
৭০
পৃষ্ঠার সেই রিপোর্টে পরিষ্কার
বলা হয়েছে, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফিরে
ম্যারাডোনা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত
হয়েছেন। আর সেটাই তার
করুণ মৃত্যুর জন্য দায়ী। মৃত্যুর
আগে কয়েক দিন যন্ত্রণার
মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়েছে
তাকে।
গেল
বছর ২৫ নভেম্বর ম্যারাডোনাকে
তার বেডে মৃত অবস্থায়
পাওয়া যায়। রিপোর্টে দাবি
করা হয়েছে, বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছিল
ঘটনার ১২ ঘণ্টা পরে।
আর্জেন্টিনা
বিচার বিভাগের নির্দেশেই ম্যারাডোনার মৃত্যুতে চিকিৎসা বিভ্রাট বা গাফিলতি ছিল
কি না, জানতে ২০
জন বিশেষজ্ঞের একটি দল তদন্ত
করেছে। তারাই প্যানেলকে এমন সব চাঞ্চল্যকর
তথ্য দিয়েছেন।
ম্যারাডোনার
ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিয়োপোল্দো লুকে, মনোবিদ কার্লোস দিয়াস ও দুজন নার্সের
ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষী
সাব্যস্ত হলে তাদের ১৫
বছরের কারাবাসও হতে পারে। গত
বছর ২৫ নভেম্বর ৬০
বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান
ম্যারাডোনা।
জেডআই/এম. জামান