• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‍‍`যখনই মেয়েরা আওয়াজ তুলছে, তখনই তাদের ছেঁটে ফেলা হয়েছে‍‍`!

প্রকাশিত: মে ২, ২০২৩, ১১:৩৬ পিএম

‍‍`যখনই মেয়েরা আওয়াজ তুলছে, তখনই তাদের ছেঁটে ফেলা হয়েছে‍‍`!

ক্রীড়া ডেস্ক

দেশের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগিররা রাজধানীর রাস্তায় বসে রয়েছেন। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ধর্না দিচ্ছেন তাঁরা। ন্যায়বিচারের দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে আন্দোলন অব্যাহত ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক ও বজরং পুনিয়াদের মতো চ্যাম্পিয়নদের। তাঁদের দাবি একটাই। গ্রেফতার করতে হবে যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে। ভিনেশ-সাক্ষীরা আর কিছুই চান না। দ্বিতীয় দফার আন্দোলনের দশম দিনে বিনেশ-সাক্ষীরা সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকের বাছাই করা অংশ তুলে দেওয়া হল।

ভিনেশ ফোগাট যখনই কোনও মহিলা আওয়াজ তুলেছে, তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। আর কখনও খেলতে দেওয়া হয়নি। যাঁরা বলছেন যে, কেন আমরা ১২ বছর চুপ করেছিলাম, এটা তাঁর উত্তর। এখন আমরা একত্রিত হয়েছি। সাহস এসেছে আমাদের মধ্যে। একজন মানুষ যখন ক্ষমতার অপব্য়বহার করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা খুবই কঠিন। আমরা তিন-চার মাস অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কিছুই হয়নি। ক্রীড়ামন্ত্রকের সামনে মেয়েরা চোখ ফেলেছে। কিন্তু কিছুই হয়নি। আমরা বলেছিলাম যে, দিল্লি পুলিসের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। ওরা এখনও মেয়েদের বয়ান নথিবদ্ধ করছে না। যত পারছে পিছিয়ে দিচ্ছে। ওদের আইটি সেল সব করছে। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলে দিয়েছে যে, অভিযোগ আনা কোনও মহিলার নাম সামনে আনা যাবে না। কিন্তু তারা সেই মেয়ের নাম সামনে এনে, তাকে বদনাম করছে।

বজরং পুনিয়া- এখন বলছেন, উনি নাকি ফাঁসিতে ঝুলবেন! বাচ্চাদের খেলতে দেওয়া হোক, টুর্নামেন্ট না খেললে ক্ষতি হয়ে যাবে। যে টুর্নামেন্টের কথা হচ্ছে সেই টুর্নামেন্টে বাচ্চাদের ১০০০ টাকা খরচ হয়। নিজেদের খরচায় যাওয়া আসা করে। কোনও লাভ হয় না। আমরা নিয়মের বিরুদ্ধে লড়ছি না। আমাদের লড়াই যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে।

সাক্ষী মালিক- একজন আইনজীবীকে ডাকা হয়েছিল পুণরায় ট্রায়ালের জন্য। যদিও এর আগেই ট্রায়াল হয়েছে। ওই মহিলা আইনজীবী ভিনেশকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, তাঁর সঙ্গে কী কী ঘটছে। যখন ট্রায়াল দেন ব্রিজ ভূষণ, তিনি তখন পেরে ওঠেননি। তবে ওই মেয়েটি কেঁদেছিল।

 

বিএস/
 

আর্কাইভ