প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম
২০১৯ বিশ্বকাপের ১০ অধিনায়কের একজনও থাকছেন না এবারের আসরে। বছরের শেষ দিকে ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন ১০ ‘নতুন’ অধিনায়ক। বিশ্বকাপের আগের সব আসরেই এমন কেউ না কেউ ছিলেন, যাঁরা আগের আসরেও অধিনায়ক ছিলেন।
গতবারের মতো এবারও বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে ১০ দল। এরই মধ্যে সাতটি দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এই সাত দলের কারোরই গতবারের অধিনায়কেরা নেতৃত্বে নেই।
২০১৯ আসরে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, যিনি ২০১৫ আসরেও দায়িত্বে ছিলেন। ২০২০ সালে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া মাশরাফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই তিন বছর হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিক অবসর না নিলেও ফেরার সম্ভাবনা নেই বললে চলে। বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন তামিম ইকবাল।
চার বছর আগে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে নাটকীয়ভাবে আফগানিস্তানের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন গুলবাদিন নাইব। এখনো আফগানিস্তানের খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে অধিনায়কত্বের দায়িত্বে হাশমতুল্লাহ শহিদি।
অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। গত বছরের শেষ দিকে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্বে এখন প্যাট কামিন্স। অবসর নিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এউইন মরগানও। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অধিনায়ক এখন জস বাটলার।
ভারতের বিষয়টি আবার ভিন্ন। ২০১৯ বিশ্বকাপের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এখনো খেলে যাচ্ছেন। শুধু খেলছেনই না, ভারতের ব্যাটিং এখনো তাঁকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। তবে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন কোহলি। ঘরের মাঠে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
পাকিস্তানের নেতৃত্বের ব্যাটন এখন বাবর আজমের। গত আসরে নেতৃত্ব দেওয়া সরফরাজ এই মুহূর্তে দলে থিতু নন। চূড়ান্ত পর্ব প্রায় নিশ্চিত করে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ফাফ ডু প্লেসিও জায়গা পাচ্ছেন না। নেতৃত্বে টেম্বা বাভুমা।
গত আসরে খেলা শ্রীলঙ্কা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখনো চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করতে পারেনি। জুনে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে খেলতে হবে তাদের। বাছাইপর্ব উতরালে নতুন অধিনায়ক থাকবে এ দুই দলেরও। গতবার শ্রীলঙ্কা খেলেছিল দিমুথ করুনারত্নের নেতৃত্বে, দেশটির অধিনায়ক এখন দাসুন শানাকা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেতৃত্বে জেসন হোল্ডারের জায়গায় শাই হোপ।
গত বিশ্বকাপের ১০ দলের ৯ দলের অধিনায়কই বদল হয়ে গিয়েছিল গত বছরের শেষ দিকে। অধিনায়ক হিসেবে টিকেছিলেন শুধু উইলিয়ামসন। তবে আইপিএলে গুজরাটের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ফিল্ডিংয়ে পায়ে চোট পান কিউই অধিনায়ক। নিজে বা ক্রিকেট বোর্ড না চাইলেও এখন তাঁকে বিশ্বকাপের নেতৃত্ব ছাড়তে হচ্ছে। অনেকটা যোগেন্দ্রনাথ সরকারের ‘হারাধনের ১০ ছেলে’ কবিতার শেষ পঙ্ক্তির মতো, ‘হারাধনের একটি ছেলে কাঁদে ভেউ ভেউ, মনের দুঃখে বনে গেল রইল না আর কেউ।’