• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

টানা তৃতীয় জয়ে সাকিবরা টিকে রইল সুপার লিগের দৌড়ে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩, ১২:২৭ এএম

টানা তৃতীয় জয়ে সাকিবরা টিকে রইল সুপার লিগের দৌড়ে

ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলতি আসরে শুরুটা ভালো ছিল না তারকায় ভরপুর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে গত আসরের মতো এবারও সুপার লিগের আগে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। তবে ৩৬০ ডিগ্রি পরিবর্তনে পরের তিন ম্যাচে টানা জয় তুলে দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রইল সাকিবরা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সিটি ক্লাবের বিপক্ষে লিগে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে মোহামেডান। ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন জ্যাক লিনটট।

জাতীয় দলের একাধিক তারকায় ভরপুর মোহামেডান। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সিরিজের ব্যস্ততায় এতদিন সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রনি তালুকদারদের মতো তারকাকে নিয়মিত পায়নি দলটি। তবে এবার জাতীয় দলের ব্যস্ততা শেষ। তাই হাসি ফিরেছে সাদা-কালো শিবিরেও।

পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে তারা একেবারে নাস্তানাবুদ করেছে সিটি ক্লাবকে। মোহামেডানের দেয়া ৩৪৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে সিটির ইনিংস থেমেছে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ ‍উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানে। সিটির হয়ে ৬৫ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ ছাড়া ৯৬ বলে ৩ চারের মারে ৫২ রান করেন আসিফ আহমেদ। বাকিদের কেউ ব্যাট হাতে খুব একটা দ্যুতি ছড়াতে পারেননি মোহামেডানের বোলারদের সামনে। সাদা কালোদের হয়ে লিনটট ৬৮ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন। দলের সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলার সাকিব। ১০ ওভার বলে করে মাত্র ৩৬ রান খরচায় তিনি তুলে নেন এক উইকেট। এছাড়া মিরাজ, নাজমুল ইসলাম ও সৌম্য সরকারও একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।

এর আগে ইমরুলের সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মাহিদুল ইসলামের ফিফটিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান সংগ্রহ করেছিল মোহামেডান।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানেই আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। তিনি ১১ রান করেন। এরপর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করে বেশি দূর যেতে পারেননি সৌম্য সরকার। ১৩ রান করে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। জাতীয় দল থেকে ফিরে এদিন মিরাজ করেছেন মোটে ৬ রান।

আসিফ হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মিরাজ অবশ্য মেজাজ হারিয়েছিলেন কিছুটা। এ সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে দোষারোপ করতেও দেখা যায় তাকে। রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন ইমরুল। ৫৯ বলে ৭১ নের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রিয়াদ ফিরলেও অন্যপ্রান্তে অটল ছিলেন ইমরুল। ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করে তুলে নেন চলতি ডিপিএলে প্রথম শতক। ব্যক্তিগত ১১৪ রানে থাকা অবস্থায় তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন মোহামেডানের অধিনায়ক।

ইমরুলের পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং অঙ্কন। ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়ে ৬৫ রান করে ফেরেন অঙ্কন। দুইবার জীবন পেয়েও ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি সাকিব। ১৯ বলে করেছেন ২৬ রান।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ