প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২১, ০৯:৪৫ এএম
ম্যাচের
সব দিক থেকে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। তবে বেলজিয়ামের জালে বল জড়াতে পারেনি তারা। তাই তো
রোনালদোর সমর্থকেরা বলতেই পারে, আজ ঈশ্বর আমাদের পাশে ছিল না। তাই তো দ্বিতীয় রাউন্ড
থেকে বিদায় নিতে হলো তাদের। খালি হাতে ফিরতে হলো শেষ ইউরো খেলতে আসা রোনালদোর।
ম্যাচের শুরু থকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ম্যাচ শুরুর ছয় মিনিটেই প্রথম সুযোগটা পায় পর্তুগিজ দিয়োগো জোতা। রেনাতো সানচেস দারুণ একটা পাস দিয়েছিলেন
ফাঁকায় দাঁড়ানো জোতাকে। যথেষ্ট সময় পেলেও বলটিকে শুধু বাইরে পাঠাতে পারেন লিভারপুল
ফরোয়ার্ড। আর ম্যাচের ৩৮ মিনিটে লুকাকুর বল নিয়ে এক দৌড় পর্তুগিজদের এলোমেলো করে দেয়।
লুকাকুর
ওই দৌড়ের চার মিনিট পরেই আসে সেই মুহূর্ত। পর্তুগালের ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে টমাস মুনিয়ের
পাস দেন বাঁ পাশে থরগান হ্যাজার্ডকে। দ্রুত দুটি স্পর্শে জায়গা বানিয়ে বাতাসে ভাসানো
বাকানো শটে দারুণ এক গোল পেয়ে যান থরগান হ্যাজার্ড। পর্তুগাল গোলরক্ষক রুই প্যাত্রিসিওর
এই গোল ঠেকানোর উপায় ছিল না। এই গোলেই প্রথমার্ধ শেষ হয়।
ম্যাচের
৪৫ মিনিটে পালিনিয়া ফাউল করেন ডি ব্রুইনাকে। ওই চোটেই বিরতির পর উঠে যেতে বাধ্য হন
বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। ডি ব্রুইনা উঠে যেতেই একচেটিয়া খেলতে শুরু করে পর্তুগাল। ৫৫ মিনিটি
জোয়াও মুতিনিও ও বেরনার্দো সিলভাকে উঠিয়ে ফার্নান্দো সান্তোস জোয়াও ফেলিক্স ও ব্রুনো
ফার্নান্দেজকে মাঠে নামালে আক্রমণের ধার বাড়ে পর্তুগালের। তবে সোনার হরিণ গোলের দেখা
পায়নি রোনালদো-ব্রুনো ফার্নান্দেসরা।
এ
ম্যাচ পর্তুগালের ছিল না বলে দাবি করতে পারে তারা। কারণ শেষ সময়ে এসে সের্গিও অলিভিয়েরার
শটটা যে লেগেছে পোস্টে।
গোটা
ম্যাচে ৫৮ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখছিল রোনালদোরা। ২৩ বার গোলের উদ্দেশ্যে শট নিয়েছে
তারা। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। ফলে ৩২ বছর পর বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারের বিষাদে
পুড়েছে পর্তুগাল।
কোয়ার্টারে ইতালির মুখোমুখি হবে ফিফা র্যাংকিংয়ের ১ নম্বরে থাকা এই দলটি। ৩১ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকা ইতালিকে রুখতে কি পারবে রবার্তো মার্টিনেজ শীষ্যরা? জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বুধবার দিবাগত রাতের ম্যাচ পর্যন্ত।
মামুন/সবুজ/এএমকে