প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ১১:১০ পিএম
ছোট পুঁজি নিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই একটুও জমিয়ে তুলতে পারল না বাংলাদেশ। পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটিং ঝড়ে সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।
ব্যাটিংয়ে হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে ১২৪ রানে থেমে যাওয়া বাংলাদেশকে হারাতে সফরকারীদের লাগে কেবল ১৪ ওভার। ২-১ এ শেষ হলো টি-টুয়েন্টি সিরিজ। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ হেলায় হারালো বাংলাদেশ।
দলের রান একশ পেরিয়ে যাওয়ার পর আউট হন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক স্ট্রার্লিং। ডানহাতি ওপেনার ৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন ১০টি চার ও ৪ ছক্কায়। ৯ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন কার্টিস ক্যামফার।
তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও অভিষিক্ত লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন একটি করে উইকেট নেন।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারে বাংলাদেশের দুই ওপেনারই মারেন একটি করে বাউন্ডারি। আসে ৯ রান। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ব্যাটে। ওপেনিং জুটি ভাঙতেই দেখা যায় বেহালদশা।
উইকেট পতনের মিছিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টুয়েন্টিতে একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে। শামীম হোসেন পাটোয়ারির লড়াকু ফিফটিতে বাংলাদেশের স্কোর শেষপর্যন্ত কিছুটা ভদ্রস্থ হয়েছে। ১৯.২ ওভারে ১২৪ রান তুলে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রামে আইরিশদের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে দুইশর বেশি রান তুলে টি-টুয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নেয়া বাংলাদেশ সাদা বলের শেষ লড়াইয়ে অনেকটা টেনেটুনেই একশ পার করেছে।
আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা বাংলাদেশ বোলিং কন্ডিশনে ব্যাটিং বেছে নেয়। জমা হওয়া আত্মবিশ্বাসে বড় একটা ঝাঁকুনিই দিয়েছে আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশকে অল্পতে আটকে রেখে।
৪২ বলে ৫১ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন শামীম। বাঁহাতি ব্যাটারের টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ৫টি চার ২টি ছয়ের মার ছিল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন ওপেনার রনি। নাসুম আহমেদ ১৩ ও তাওহিদ হৃদয় করেন ১২ রান। বাকি কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। মার্ক অ্যাডায়ার তিনটি ও ম্যাথিউ নেন দুটি করে উইকেট।