প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের আয়োজন ভারত। আগেই জানা গিয়েছিল টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে। তখনো অবশ্য নির্দিষ্ট তারিখ জানা যায়নি। তবে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ক্রিকেট ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফো বিশ্বকাপ শুরুরু সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আর ১৯ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্বকাপ।
৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর মোট ৪৬ দিনে ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম ছাড়াও দিল্লি, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতা, ধর্মশালা, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, রাজকোট, লক্ষ্ণৌ, ইন্দোর স্টেডিয়াম রয়েছে টুর্নামেন্ট আয়োজনের তালিকায়। তবে ফাইনাল ম্যাচ ছাড়া আর কোনো ম্যাচের ভেন্যু নির্দিষ্ট হয়নি এখনো।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এবারের আসরের জন্য কমপক্ষে ১২টি স্টেডিয়ামকে তালিকাভুক্ত করেছে। আর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল আয়োজিত হতে যাচ্ছে বলেও জানায় ক্রিকইনফো।
গেল সপ্তাহে দুবাইয়ে আইসিসি’র বৈঠকে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ভিসার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে বিসিসিআই। আর কর মওকুফ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কিছুদিনের মধ্যেই আইসিসিকে জানাবে বিসিসিআই। ২০১৪ সালেই এ নিয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি করা আছে আইসিসির। এই চুক্তির অধীনে আইসিসিকে কর মওকুফে সাহায্য করতেই হবে বিসিসিআইর।
বিশ্বকাপের প্রায় এক বছর আগেই টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ করে আইসিসি। তবে এবার আয়োজক বিসিসিআই ভারত সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল। তাই সূচি প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আইসিসিকেও। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থাকে ভারত সরকারের সঙ্গে সবার আগে দুটি বিষয় সুরাহা করতে হয়েছে- কর মওকুফ ও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ভিসা নিশ্চিত করা। আইসিসির ইভেন্ট ছাড়া ২০১৩ সালের পর থেকে ভারতের মাটিতে খেলেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
তবে ভারতের কর কর্তৃপক্ষ গেল বছর আইসিসিকে জানায়, ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ব থেকে উপার্জিত অর্থ থেকে ২০ শতাংশ কর প্রদান করতে হবে। বিসিসিআইয়ের হিসাব অনুযায়ী, ওয়ানডে বিশ্বকাপের সম্প্রচার থেকে ৫৩৩ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে আইসিসি, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ৭শ ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
এএল/