প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম
আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে বিকাল ৩টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের নামবে সাকিব বাহিনী। ঘরের মাঠে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দল। তার সুবাদে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চট্টগ্রামে খেলা প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছেন টাইগাররা। সেই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টেই দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ দল।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামার আগে গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলের পেস বোলার হাসান মাহমুদ। এ সময় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার আশা প্রকাশ করেন তিনি। হাসান বলেন, ‘আমরা ইনশাআল্লাহ্? সিরিজ জিতব। মোমেন্টাম যেহেতু আমাদের দিকে আছে, ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে। অধিনায়ক আমাদের সাহস দিচ্ছেন। আমরা ইয়াং আছি সবাই। সব কিছু মিলে ঠিকঠাক চলছে।’
এর আগে প্রথম ম্যাচে নিজের প্রথম দুই ওভারে দিয়েছিলেন ২১ রান। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ান হাসান। ইনিংসের ১৭ ও ১৯তম ওভার করতে এসে দেন কেবল ৫ রান। এর সঙ্গে দুটি উইকেটও নেন। চাপ সৃষ্টি করেন ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে। যেখানে শুরু থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে স্বাগতিক বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুড়াচ্ছিল ইংলিশ ব্যাটাররা। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাসান বলছিলেন, ‘আমার চিন্তা থাকে বল বাই বল। একটা বল যদি ডট দিতে পারি, পরের বলের জন্য সেটাই চিন্তা থাকে। যদি বাউন্ডারি হয়েও যায়, তবু আমি আমার স্ট্রেংথে থাকি, যেটা পছন্দ করি, সে বলটা করি। ঐ সময়টায় আমি নিজের ক্যারেক্টারটা শো করতে পছন্দ করি। আমি চাই ঐ চ্যালেঞ্জটা নিতে।’ এ সময় তিনি নিজের করা প্রথম দুই ওভারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ঐসময়... ও যে আমাকে দুইটি ছয় মেরেছে পরপর, আমি ওই ছয়ের দিকে তাকাইনি। আমি দেখিইনি ও কী করছে। আমি শুধু আমি কী করব, তা নিয়ে ভাবছিলাম। শেষ দুই ওভারে আমার চ্যালেঞ্জ ছিল যে কোনোভাবে এই দুই ওভার রান কম দিতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের পাশাপাশি ওয়ানডেতেও খেলেন হাসান মাহমুদ। ৫০ ওভারের খেলায় তিনি খেলেছেন মাত্র ৬টি ম্যাচ। সংবাদ সম্মেলনে দুই ফরম্যাটের পার্থক্য জানতে চাইলে ডানহাতি এ পেসার বলেন, ‘ওয়ানডেতে তো আমরা ১০ ওভার করি। প্রথম ৫ ওভারের একটা পরিকল্পনা থাকে। বল যখন নতুন থাকে তখন সুইং নিয়ন্ত্রণ করা, লাইন-লেংথে বোলিং করা, ফিল্ডিং অনুযায়ী বোলিং করা। পরে ৩০ ওভারের পর যখন বোলিংয়ে আসা হয়, তখন পরের ৫ ওভারের পরিকল্পনা অন্যরকম। তখন রান কম দেয়ার চেষ্টা থাকে। ব্যাটসম্যান তখন মারতে চায়। তখন কিছুটা ভিন্ন পরিকল্পনায় বোলিং করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে তো ৪ ওভার থাকে। খুবই দ্রুত শেষ হয়ে সেগুলো যায়। ঐ সময় ব্যাটসম্যান শুরু থেকেই মারতে চায়। আমাদেরও শুরু থেকে রান কম দেয়ার চিন্তা থাকে। এটুকুই পার্থক্য। যে ধরনের বলে ডট পাওয়া যাবে, ওইটাই বেশি করার চেষ্টা করি।’
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলেও, সিরিজের বাকি দুইটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। টাইগারদের খুব আপন উইকেট এইটা। কারণ বছরের বেশির ভাগ ম্যাচই এখানে খেলে থাকেন তারা। তাই চট্টগ্রামের মতো মিরপুরেও বাটলারদের হারাতে চেষ্টা করবেন বলে জানান হাসান মাহমুদ। বলেন, ‘মিরপুরে খেলা যেহেতু হবে, অবশ্যই ভালো উইকেটেই হবে। এখন পর্যন্ত আমরা খুব ভালো খেলেছি। ওদেরকে চট্টগ্রামে হারিয়েছি। চেষ্টা থাকবে ওদেরকে এখানেও হারানোর।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) থেকে দুই ব্যাটারকে দলে ভিড়িয়ে টি-টোয়েন্টি দল আরো শক্ত করেছেন টাইগাররা। নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হাসান। বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যে টি-টোয়েন্টি দলটা আছে, আমি মনে করি বেস্ট বাঞ্চ অব প্লেয়ার্স। সবাই খুবই এনার্জেটিক এবং মাঠে শেষ পর্যন্ত খুবই এফোর্ট দেয়। এটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, এই ম্যাচটাকে এগিয়ে নিতে পারি, আমার মনে হয় ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি; যে কোনো ফরম্যাটে আমরা এগিয়ে থাকব।’
সাজেদ/এএল